লাদাখে লাউড স্পিকারে 'পাঞ্জাবী গান' বাজিয়ে চিন কোন রণনীতিতে শান দিচ্ছে! ধূর্তামির প্যাঁচ লালফৌজের
চিনের সেনা পাহাড়ের উচ্চতায় উঠে পাঞ্জাবী গান বাজিয়ে ভারতের উৎসাহ খর্ব করার চেষ্টা করছে
এই ঘটনা ভারতীয় সেনার কাছে কিছু নতুন বিষয় নয়। যুদ্ধের ময়দানে লাউড স্পিকারে গান বাজিয়ে বিপক্ষ শিবিরকে বার্তা দেওয়া, বিপক্ষেরই ভাষায় , এমন যুদ্ধনীতি চিন ৬২ এর যুদ্ধেও দেখিয়েছে। তবে সেই পুরনো নীতি নিয়ে চিন যে ২০২০ সালের সংঘাতেও যুদ্ধের ময়দানে নামবে, এটা ভাবতে পারেনি ভারতীয় সেনা। একনজরে দেখে নেওয়া যাক চিন কোন নীতি নিয়ে লাদাখে লড়াই করছে।
লাদাখে চিনের নয়া ছক
লাদাখে ফিঙ্গার ফোর সংলগ্ন এলাকা এখনও দখলে রেখেছে চিন। আর আচমকা সেখান থেকে জোরে লাউড স্পিকার বাজিয়ে গানের আসর বসায় লালফৌজ। স্পিকারে পাঞ্জাবী গান চলছিল। যে গানের আদ্যোপান্ত লালফৌজের কেউ বোঝেন কিনা অজানা! তবে গানের কথা যে ভারতীয় সেনাকে কটাক্ষ করেই আসছিল, তা স্পষ্ট ধরে ফেলেছে গোয়েন্দারা।
গানের মাধ্যমে যুদ্ধবার্তা
এদিকে, লাদাখে যে পাঞ্জাবী গানের মাধ্যমে চিনা সেনা বোঝাতে চেয়েছে, ভারত যুদ্ধের উত্তেজনায় লাদাখে যে চূড়া দখল করেছে তাতে আসলে ভারতের কোনও লাভ হবে না। কারণ সেই শৃঙ্গগুলিতে শীতকালে প্রবল হাওয়ার দাপট ও বরফপাত ভারতীয় সেনাকে বিপাকে ফেলবে। গানের কথা এমন ইঙ্গিত দিয়েছে। এমন ভাবেই লাদাখে পাঞ্জাবী গানে সেরকম বার্তা দিয়ে ভারতীয় সেনাকে কটাক্ষ করার কাজে নেমেছে লালফৌজ। যাতে ভারতের সেনার মনোবল ভাঙতে পারা যায়, সেই চেষ্টাই এর মাধ্যমে করছে লালফৌজ।
কেন লাউড স্পিকার নীতি নিয়েছে চিনা সেনা?
উল্লেখ্য, জানা গিয়েছে লাউড স্পিকারের মাধ্যমে গান বাজিয়ে ভারতীয় সেনার সাফল্যকে নিচু দেখানো চিনের পুরনো প্যাঁয়তারা। এসব করে চিন ভারতীয় সেনার উদ্দীপনা, মনোবলকে দমাতে চাইছে। চিন লাদাখে,বারবার ভারতকে টার্গেট করে, যে গান চালিয়েছে, তাতে স্পষ্ট কিছু ইঙ্গিত রয়েছে বলে খবর। যে গানে বলা হচ্ছে, দিল্লির রাজনৈতিক শক্তির ইচ্ছায় পড়ে যুদ্ধের নেশায় ভারত লাদাখে শৃঙ্গ দখল করছে। যা যুদ্ধের ময়দানে ভারতকে কোনও সুবিধা তো দেবেই না, বরং শীতকালে অসুবিধায় ফেলবে।
কেন পাঞ্জাবী গান বেছে নিয়ে বোকামো করেছে চিন?
উল্লেখ্য, চিন আগেও ৬২ র যুদ্ধের সময় পাঞ্জাবী গানের মাধ্যমে হুহু একই নীতি নিয়ে যুদ্ধের ময়দানে নেমেছিল। তাদের ধারণা যে ভারতীয় সেনায় বেশিরভাগ জনই পাঞ্জাবী। আর লাদাখে যে সেনা জওয়ানরা মোতায়েন তাঁরাও বেশিরভাগই পাঞ্জাব থেকে এসেছেন। আর এই বোকামোর জন্যই চিন কেবল পাঞ্জাবী গান বাজিয়ে যাচ্ছে লাউড স্পিকারে। কিন্তু লালফৌজের এই চেনা প্যাঁয়তারা কার্যত পাঞ্জাবী ভাষার জন্যই ধরে ফেলেছে ভারত। কারণ এর আগেও একই ভুল তারা করেছে। যাতে লালফৌজের লাভের লাভ হয়নি।
মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ
লালফৌজ আপাতত মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধে মাতোয়ারা হতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। লড়াইয়ের ময়দানে ভারতের বহুবলের সঙ্গে না পেরে উঠে, ক্রমাগত মানসিক চাপ ভারতীয় সেনার উপর ফেলতে চাইছে তারা।
কীভাবে লকডাউন করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ করেছে, কেন্দ্রের কাছে জানতে চাইল কংগ্রেস