লাদাখের গালওয়ানে রক্তাক্ত সংঘাত জিনপিং সরকারের পরিকল্পিত ছক! বিস্ফোরক তথ্য মার্কিন রিপোর্টে
২০২০ সালে করোনা অতিমারীর মধ্যে গত মে মাস থেকে লাদাখে আস্ফালন দেখাতে শুরু করে চিন। ক্রমাগত চিনা আগ্রাসন ঠেকাতে তৎপরতা দেখা যায় ভারতের তরফে। আর তারপরই জুন মাসে লাদাখের গালওয়ানের দুই সেনা পক্ষের রক্তাক্ত সংঘাত। যার হাত ধরে ভারতের ২০ জন সেনা জওয়ান শহিদ হন। এরপর মার্কিন রিপোর্টে ওই গালওয়ানে রক্তাক্ত অধ্যায় নিয়ে বড়সড় তথ্য এসেছে।

হতাহতের হিসাবে করে সংঘাত পরিকল্পনা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের 'ইউএস-চায়না ইকোনমিক অ্যন্ড সিকিউরিটি রিভিউ কমিশন' এর রিপোর্ট জানিয়েছে , এমন কিছু তথ্য প্রমাণ মিলিছে যাতে বোঝা যাচ্ছে যে লাদাখের গালওয়ানে গত ২০২০ জুনে যে সংঘাত হয়েছে তা চিনা সরকারের পরিকল্পিত ছক। এতে হতাহতের হিসাব কষে পরিকল্পনা তৈরি করা হয় বলেও রিপোর্টে ইঙ্গিত রয়েছে।

কেন এই সংঘাতের পরিকল্পনা!
আমেরিকা বলছে, চিন নিজের প্রতিবেশী দেশগুলিকে উস্কানি দিতে পর পর সংঘাতের রাস্তায় হাঁটছে। কখনও ভারত ও কখনও জাপান এর নিশানায় থেকেছে । আর এই সমস্ত কিছুর মধ্যে চিন বিস্তারবাদকে পোক্ত করতেই ক্রমাগত সংঘাত পরিকল্পনা করে এগিয়েছে।

যুদ্ধে উস্কানি চিনা মন্ত্রীদের
মার্কিন ওই রিপোর্ট বলছে, গালওয়ান সংঘাতের বহু আগে থেকেই চিনা মন্ত্রীরা বারবার লালফৌজকে যুদ্ধপ্রস্তুত হতে বলতে থাকে। বলা হয় চিনের স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে যুদ্ধ প্রস্তুত থাকতে হবে। এছাড়াও গালওয়ান সংঘাতের ২ সপ্তাহ গে চিনা নেতারা বলতে থাকেন, ভারত খুব শিগগিরিই প্রবল সংঘাতের মুখোমুখি হবে ।

ধোঁয়াশা থেকে যাচ্ছে!
এদিকে মার্কিন রিপোর্ট বলছে, গালওয়ান সংঘাত যে হবে তা চিন সরকার প্রায় নিশ্চিত করেই পরিকল্পনা করেছিল। তবে নির্দিষ্টভাবে গালওয়ানের এই সংঘাত থেকে চিন কোন সুবিধা লুঠে নেওয়ার চেষ্টা করেছে, তা নিয়ে রয়েছে জল্পনা।

নিজের বাড়িতে অনুগামীদের সঙ্গে বৈঠক শুভেন্দুর, ছন্দপতনের মাঝেই ফের ভাঙনের রেখা তৃণমূলে