কুমারী পুজো ঢাকা রামকৃষ্ণ মিশনেও, বাংলাদেশে বাড়ল দুর্গাপুজার সংখ্যা
বাংলাদেশে ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনে মহা ধূমধামের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হচ্ছে কুমারী পুজো। প্রস্তুতি চলছে। স্থানীয় সময় বেলা ১১ টা নাগাদ এই পুজো শুরু হবে।
বাংলাদেশে ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনে মহা ধূমধামের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হচ্ছে কুমারী পুজো। স্থানীয় সময় বেলা ১১ টা নাগাদ এই পুজো শুরু হয়। যদিও ভক্তদের ভিড় রয়েছে সকাল থেকেই। মহাষ্টমীতে বিভিন্ন বয়সী মানুষের অংশগ্রহণে আর শঙ্খ, উলুধ্বনিতে মুখরিত বাংলাদেশ।
শাস্ত্র অনুযায়ী এক থেকে ১৬ বছরের সুলক্ষণা কুমারীকে পুজো করা হয়। কুমারী বালিকার মধ্যে শুদ্ধ নারীর রূপ চিন্তা করে তাকে দেবী হিসেবে পুজো করেন ভক্তরা। তাঁরা কুমারী দেবীর চরণে পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে প্রাণীকূলের কল্যাণ ও মঙ্গল কামনা করেন।
ঢাকা রামকৃষ্ণ মিশনের স্থিরাত্মানন্দ মহারাজ ( নিরঞ্জন মহারাজ) জানিয়েছেন, যে জগৎমাতাকে আমরা আরাধনা করি তিনি সকল নারীর মধ্যে মাতৃরূপে রয়েছেন। এই উপলব্ধি সবার মধ্যে জাগিয়ে তোলার জন্যই কুমাকী পুজো করা হয়। দুর্গা মাতৃভাবের প্রতীক আর কুমারী নারীর প্রতীক। কুমারীর মধ্যে মাতৃভাব প্রতিষ্ঠাই এ পুজোর মূল লক্ষ্য।
কুমারী পুজোর আনুষ্ঠানিকতা সম্পর্কে তিনি বলেন, ঠিক যেমন ভাবে দুর্গার আরাধনা করা হয়, একইভাবে কুমারীকে সে সম্মান প্রদান করা হয়। শুধু মাটির প্রতিমা নয়, নারীর মধ্যেও মাতৃভাব আনা হয়।
বিশুদ্ধ
স্বভাবের
গুণাবলী
দেখে
একজন
নারীকে
কুমারী
হিসেবে
নির্বাচিত
করা
হয়
এবং
পুজোর
আগে
পর্যন্ত
কুমারীর
পরিচয়
গোপন
রাখার
রীতির
কথাও
জানিয়েছেন
তিনি।
নির্বাচিত
কুমারী
পরবর্তী
সময়ে
স্বাভাবিক
জীবনযাপন
কিংবা
আচার-অনুষ্ঠান
করতে
পারে
বলেও
জানিয়েছেন
তিনি।
এদিকে
এরই
মধ্যে
ঢাকার
রামকৃষ্ণ
মিশনে
পুজো
পরিদর্শনে
যান
বাংলাদেশের
রাষ্ট্রপতি
আব্দুল
হামিদ।
অধ্যক্ষ
মহারাজ
রাষ্ট্রপতিকে
অভ্যর্থনা
জানান।
রামকৃষ্ণ
মিশনের
আগে
বাংলাদেশের
রাষ্ট্রপতি
ঐতিহ্যবাহী
ঢাকেশ্বরী
মন্দিরের
দুর্গাপুজোও
পরিদর্শন
করেন।
বাংলাদেশে
সরকারি
হিসেবে
এবার
গতবারের
থেকে
৬৮২টি
পুজো
বেশি
হচ্ছে।
বাংলাদেশে
এবার
পুজোর
সংখ্যা
৩০,০৭৭টি।
গত
বছর
সংখ্যাটি
ছিল
২৯,৩৯৫।
ঢাকায়
পুজোর
সংখ্যা
২৩১টি,
গতবছর
সংখ্যাটি
ছিল
২২৯টি।
সবথেকে
বেশি
পুজো
হচ্ছে
চট্টগ্রামে।
১,৭৬৭টি।
দিনাজপুরে
পুজোর
সংখ্যা
১,২৪২টি।
গোপালগঞ্জে
পুজোর
সংখ্যা
১,১৭৫টি।