বড়সড় কূটনৈতিক জয় ভারতের! কূলভূষণ যাদবকে আপিলের সুযোগ দিতে সংসদে বিল পাস করল পাকিস্তান
দীর্ঘদিন পাকিস্তানের জেলে বন্দি কূলভূষণ যাদব (Kulbhushan Jadhav)! বন্দিদশা কাটাতে লড়াই চালাচ্ছে ভারত। এই অবস্থায় বড়সড় কূটনৈতিক জয় ভারতের। সংসদে বিল পাশ করে কূলভূষণ যাদবকে আপিল করার সুযোগ দিল পাকিস্তান। কূলভূষণ যাদবকেও আপ
দীর্ঘদিন পাকিস্তানের জেলে বন্দি কূলভূষণ যাদব (Kulbhushan Jadhav)! বন্দিদশা কাটাতে লড়াই চালাচ্ছে ভারত। এই অবস্থায় বড়সড় কূটনৈতিক জয় ভারতের। সংসদে বিল পাশ করে কূলভূষণ যাদবকে আপিল করার সুযোগ দিল পাকিস্তান। কূলভূষণ যাদবকেও আপিল করার সুযোগ দিতে হবে! এমনটাই নির্দেশ দেয় আন্তর্জাতিক আদালত।
আর সেই নির্দেশকে কার্যকর করতে এবং কূলভূষণ যাদবকে এই অধিকার দিতে বিল পাশ করল ইসলামাবাদ। যা কূটনৈতিক জয় হিসাবেই দেখছে ভারত।
বিলকে অনুমোদন সংসদের
দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানের জেলে বন্দি কূলভূষণ যাদব। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, তাঁকে দিয়ে একাধিক মিথ্যা বলানোও হয়েছে। ভারতের দাবি, ইনজেক্ট করে তাঁকে দিয়ে অনেক কিছু বলানো হচ্ছে। শুধু তাই নয়, কূলভূষণকে আপিলের কোনও সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ ভারতের। এই মর্মে আন্তর্জাতিক আদালতে আইনি লড়াই হয়। সেই মামলাতে জয় হয় ভারতের। আজ পাকিস্তানের সংসদ তাঁকে আপিলের আবেদন দিতে বিল পাস করে আর তাতে অনুমোদন দেয় সংসদ। পাকিস্তানের দাবি, কূলভূষণকে তাঁরা বালোচিস্তান থেকে গ্রেফতার করেছে। ভারতের হয়ে পাকিস্তানের মাটিতে চর বৃত্তি করার অভিযোগে সরব করাচি।
চরবৃত্তি করার অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনায়।
পাকিস্তানের আদালত কুলভূষণ যাদবের বিরুদ্ধে চরবৃত্তি করার অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনায়। তবে এই মামলা এই মুহূর্তে হেগে ইন্টারন্যাশনাল কোর্টে বিচারাধীন। পাকিস্তান যাদবকে শীর্ষ আদালতে আবেদন করার কোনও সুযোগ দেয়নি। এই বিষয়ে প্রথমদিন থেকে লড়াই করে আসছে ভারত। ইন্টারন্যাশনাল আদালতেও এই বিষয়ে অভিযোগ তোলা হয়। দীর্ঘ শুনানি শেষে বড়সড় ধাক্কা খায় পাকিস্তান। নির্দেশ ভারতের দিকেই আসে। শুধু তাই নয়, কুলভূষণকেও আপিলের সুযোগ দিতে হবে বলে জানায়।
পাকিস্তানকে ভাবার কথা বলে ICJ
ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট ২০১৯ সালে নির্দেশে জানায় যে, পাকিস্তানের উচিৎ এই বিষয়ে আরও ভাবনা চিন্তা করা। শুধু তাই নয়, জরুরি ভিত্তিতে কূটনৈতিক সমস্ত সুযোগ সুবিধা যাতে কুলভূষণকে দেওয়া হয় সে বিষয়েও পাকিস্তানকে কড়া নির্দেশ দেয় আন্তর্জাতিক আদালত। শুধু তাই নয়,বলা হয়, কুলভূষণকে এমন সুযোগ দিতে হবে যাতে তিনি নির্দিষ্ট স্থানে আইনি আবেদন করতে পারেন।
অন্যদিকে ইন্টারন্যাশানাল আদালতের কথা না শুনলে যে আদালত অবমাননার দায়ে পড়তে হতে পারে, সে কথা স্বীকার করেছিলেন খোদ পাক আইনমন্ত্রীই। আর এরপরেই এই আইন পাশ করে পাকিস্তান। তবে আজ বুধবার সেই আইনকে অনুমোদন দিল পাকিস্তান সংসদ।
তবে বলে রাখা প্রয়োজন কুলভূষণকে এই সুবিধা দেওয়াতে সে দেশে বিরোধী দলগুলির তোপের মুখে ইমরান খান সরকার।