বুধবার কুলভূষণ মামলার রায়দান আন্তর্জাতিক আদালতে
ভারতীয় চর সন্দেহে পাকিস্তানে বন্দি কুলভূষণ যাদব মামলার রায়দান বুধবার। আন্তর্জাতিক আদালত রায়দান করবে। ভারতীয় চর সন্দেহে ধৃত কুলভূষণ যাদবকে ফাঁসির সাজা দিয়েছিল পাকিস্তান।
ভারতীয় চর সন্দেহে পাকিস্তানে বন্দি কুলভূষণ যাদব মামলার রায়দান বুধবার। আন্তর্জাতিক আদালত রায়দান করবে। ভারতীয় চর সন্দেহে ধৃত কুলভূষণ যাদবকে ফাঁসির সাজা দিয়েছিল পাকিস্তান। তার বিরোধিতা করে আন্তর্জাতিক আদালতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নালিশ ঠোঁকে ভারত। দীর্ঘ কূটনৈতিক আলোচনার পর আন্তর্জাতিক আদালত এই মামলা গ্রহন করে। রাষ্ট্রপুঞ্জেও এই নিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিেয়ছিল ভারত।
২০১৭ সালে পাকিস্তানের সেনা আদালত প্রাক্তন ভারতীয় নৌসেনা আধিকারিক কুলভূষণ যাদবকে ফাঁসির সাজা শোনায়। তারপর থেকে এই নিয়ে তোলপাড় চলছে আন্তর্জাতিক মহলে। ভারত আন্তর্জাতিক আদালতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এই নিয়ে নালিশ ঠুকলে কুলভূষণ যাদবের ফাঁসির সাজায় স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়।
জুন মাসের প্রথমের দিকে, আন্তর্জাতিক আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, দ্য হেেগ ১৭ জুলাই স্থানীয় সময় বিকেল তিনটে নাগাদ শুনানি হবে কুলভূষণ যাদব মামলার।
পাক বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মহম্মদ ফৈজল গত সপ্তাহে জানিয়েছিলেন কূলভূষণ যাদব মামলায় আন্তর্জাতিক আদালত কী রায় দেবে এই নিয়ে পাকিস্তান ভাবিত নয়। তবে আন্তর্জাতিক আদালতে নিজেদের সপক্ষে এই মামলায় পূর্ণ শক্তি িদয়ে লড়বে পাকিস্তান।
২০০৭ সালের ৮ মে কূলভূষণ যাদব মামলায় পাকিস্তান ভিয়েনা চুক্তি লঙ্ঘন করছে বলে নালিশ ঠুকিছিল আন্তর্জাতিক আদালতে। ভারতের হয়ে এই মামলা লড়ছেন হরিশ সালভে। অন্যদিকে পাকিস্তানের হয়ে আন্তার্জাতিক আদালতে লড়ছেন কানওয়ার কুরেশি।
পাকিস্তান দাবি করেছে,২০১৬ সালের ৩ মার্চ বালোচ প্রদেশ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল কুলভূষণ যাদবকে। ইরান দিয়ে পাকিস্তানে ঢুকেছিলেন তিনি। যদিও ভারত দাবি করেছে নৌসেনা থেকে অবসর নেওয়ার পর ইরানে ব্যবসা করতেন তিনি। সেখান থেকে তাঁকে অপহরণ করে পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এই নিয়ে টানা পোড়েনের পর ২০১৭ সালের ২৫ ডিসেম্বর কুলভূষণের মা এবং স্ত্রীকে দেখা করার অনুমতি দেয় ইসলামাবাদ।