পাকিস্তানের জেলে বন্দিদশা থেকে দীর্ঘ আইনি লড়াই! কূলভূষণকাণ্ডের টাইমলাইন একনজরে
প্রাক্তন ভারতীয় নৌসেনা অফিসার কুলভূষণ যাদবও কি অভিনন্দনের মতো করে ওয়াঘা পার কের দেশের মাটিকে পা রাখবেন! ১৩০ কোটির দেশ ফের একবার বীরের সম্মানে গ্রহণ করে নেবে দেশের আরও এক সন্তানকে.. এমন ছবিই দেখার জন্য অধীর অপেক্ষায় গোটা ভারত। আর এই আশা আদৌ বাস্তবে রূপায়িত হবে কিনা তার অনেকটাই নির্ভর করছে আজকের আন্তর্জাতিক আদালতে কূলভূষণ মামলার রায়ের ওপর। পাকিস্তানে তাঁর ফাঁসির আদেশ বহাল থাকবে , নাকি থাকবে না , তা নির্ভর করছে এদিনের রায়ের উপর। একনজরে দেখে নেওয়া যাক, কূলভূষণ মামলার শুরু থেকে আজ পর্যন্ত ঘটনাবলী।

ঘটনার সূত্রপাত ২০১৬ সাল..
পাকিস্তানের দাবি, ২০১৬ সালের ৩ মার্চ ভারতের প্রাক্তন নৌসেনা জওয়ান কূলভূষণ যাদবকে বালুচিস্তান থেকে গ্রেফতার করে পাক সেনা। কিন্তু ভারতের দাবি, ব্যবসার কাজে ইরানে যাওয়ার পর পাক গোয়েন্দাদের সঙ্গে জড়িত জঙ্গি সংগঠনের হাতে অপহৃত হয়ে আইএসআইএর হাতে পড়ে যান কূলভূষণ । পাকিস্তানের দাবি ছিল গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে কুলভূষণকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যা নস্যাৎ করে দিয়েছে দিল্লি।

পাকিস্তানে মৃত্যুদণ্ড
পাকিস্তান থেকে বেশ কিছু নথি চুরি, ও গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে কূলভূষণ যাদবকে ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনায় পাকিস্তানে সেনা আদালত। এরপরই ৮ মে আন্তার্জাতিক আদালতের দ্বারস্থ হয়ে যায় ভারত। ভারত দাবি তোলে, কূললভূষণকে মৃত্যু দণ্ডের সাজা শুনিয়ে ভিয়েনা চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান।

বিশ্বমঞ্চে কুলভূষণ ইস্যুতে ভারতের প্রাথমিক জয়!
১৮ মে আন্তর্জাতিক আদালতের তরফে পাকিস্তানকে বলা হয় কূলভূষণের ফাঁসির সমস্ত প্রক্রিয়া যেন রদ করে দেওয়া হয়। এরপর কুলভূষণ ইস্যুতে বিশ্বমঞ্চে পাকিস্তানের একের পর এক মিথ্য়ার মুখোশ খুলে দিয়েছে ভারত।

মা ও স্ত্রীয়ের সঙ্গে কূলভূষণের যোগাযোগ
গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর ইসলামাবাদে যান কুলভূষণের মা ও স্ত্রী। সেখানে এক কাঁচ ঘেরা ঘরে বন্ধ রেখে যান্ত্রিক যোগের মাধ্যমে কুলভূষণের সঙ্গে মা ও স্ত্রীকে কথা বলতে দেওয়া হয়। যে ঘটনায় পাকিস্তান কূলভূষণের মা ও স্ত্রীকে বহু রকমের হেনস্থা করে বলেও অভিযোগ উঠেছিল।

ফেরব্রুয়ারি ২০১৯ থেকে জুলাই ২০১৯
এবছরের শুরুতে ফেব্রুয়ারি মাসে টানা ৪ দিন মামলার শুনানির আয়োজন করে আন্তর্জাতিক আদালত। সেই সময় ভারতের বুকে পুলওয়ামা হামলাতে পাকিস্তান যোগ উঠে আসে। ফলে দুটি দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়তে থাকে। আর তারপর আজ ১৭ জুলাই আন্তর্জাতিক আদালতে ফের একবার কূলভূষণ মামলা।