মিটিংয়ে ঘুমিয়ে পড়ায় সরকারি আধিকারিককে কামান দেগে উড়িয়ে দিলেন কিম জং উন!
হ্যামহাং, ৩১ অগাস্ট : উত্তর কোরিয়ার দোর্দণ্ডপ্রতাপ ও স্বৈরাচারী শাসক কিম জং উনের কথা এখন সারা বিশ্ব জানে। নিত্যদিন তাঁর অপকীর্থির কথা সামনে আসে। অত্যাচারী এই শাসকের আর এর নৃশংসতার কথা সম্প্রতি সামনে এল। তাঁর সঙ্গে মিটিংয়ে এক সরকারি আধিকারিকের চোখ লেগে আসায় একেবারে কামান দেগে তাঁকে উড়িয়ে দিয়ে হত্যা করা হল। [ঘুমিয়ে পড়ায় বেঘোরে প্রাণ গেল উত্তর কোরিয়ায় প্রতিরক্ষামন্ত্রীর]
উত্তর কোরিয়ার শিক্ষা মন্ত্রকের আধিকারিক রি ইয়ং জিনকে সেনাবাহিনীর কাজে ব্যবহৃত অ্যান্টি এয়ারক্র্যাফ্ট গান দিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে বলে দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদপত্র জানিয়েছে। এর আগে কৃষিমন্ত্রকের দায়িত্বে থাকা হোয়াং মিনকেও এমনই নৃশংস কায়দায় হত্যা করা হয়েছে। [১০১ বছর বয়সে কর্মজীবনে অবসর এক জাপানি বৃদ্ধর]
নিজের পিতার মৃত্যুর পর ২০১১ সালে কমিউনিস্ট রাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতায় আসেন কিং জং উন। তারপর থেকে আজ পর্যন্ত বহু সরকারি আধিকারিক ও মন্ত্রীকে হত্যা করেছেন কিম। এমনকী নিজের কাকা জাং সং থেককেও মেরে ফেলতে বুক কাঁপেনি এই স্বেচ্ছাচারী শাসকের। [আমাজনে 'ফুটন্ত নদী'-র সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা]
এর পাশাপাশি নিজের প্রতি ভয়কে জিইয়ে রাখতে আরও দুই সরকারি আধিকারিকেও হত্যা করা হয়েছে কিমের নির্দেশে। কেউ যাতে কিমের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে না পারে সেই ভয়কে উসকে দিতেই নতুন করে এই গণহত্যা শুরু করেছেন কিম, এমনটাই বক্তব্য দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যমের। [৮ ঘণ্টা লাগাতার ঝগড়া করে জ্ঞান হারালেন দুই মহিলা!]
২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর এখনও পর্যন্ত প্রায় শ'খানেক সরকারি কর্মীর প্রাণ গিয়েছে কিম জং উনের রোষের কারণে। এর আগে নিজের পিসেমশাইকে কুকুর লেলিয়ে মেরে ফেলেছিলেন কিম। এছাড়া গতবছর এপ্রিলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হাইওন ইয়োঙ্গ চোলকেও সরকারি অনুষ্ঠানে ঘুমিয়ে পড়ার দায়ে মিসাইলের সামনে রেখে একইভাবে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।