উত্তর কোরিয়ায় প্রথম কোভিড সংক্রমণ, জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা কিম জং উনের
টানা আড়াই বছর ধরে কোভিডের বাড়বাড়ন্ত সহ্য করছে বিশ্ব৷ প্রায় প্রতিটি দেশেই হানা দিয়েছে এই মারণ ভাইরাস। কোটি কোটি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন, মারাও গিয়েছেন। ব্যতিক্রম ছিল উত্তর কোরিয়া। মহামারি শুরু হওয়ার পর এতদিনে একজনও আক্রান্ত হননি সেদেশে। তবে এই রেকর্ড এবার ভাঙল। কিম জং উনের দেশে এই প্রথম কোভিডে আক্রান্ত হল মানুষ।

উত্তরকোরিয়ার স্বাস্থ্যের দশা বেহাল!
এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর রাষ্ট্র হলেও উত্তর কোরিয়ার স্বাস্থ্য পরিকাঠামো একেবারে দুর্বল। কিম জং উনের দেশের সামরিক শক্তি ছাড়া তেমন কিছুই নেই বললেই চলে৷ দেশের ২৬ মিলিয়ন মানুষের অধিকাংশই টিকা পাননি৷ এমতাবস্থায় ঠিক কতটা সংক্রমণ ছড়িয়েছে তা স্পষ্ট নয়। তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এই মুহূর্তে বহির্দেশীয় সাহায্য চাইতে পারে উত্তর কোরিয়া।

একসঙ্গে প্রচুর মানুষ করোনা সংক্রমিত কিমের রাজত্বে!
উত্তর কোরিয়ার জাতীয় সংবাদ সংস্থার খবর, রবিবার বেশ কিছু সংখ্যক করোনা রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়৷ সেখানে দেখা যায় দেশের রাজধানী পংগ্যাংয়েই বহু মানুষ ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত। এই ঘটনার জেরে দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণা করেছেন কিম জং উন৷ তিনি জানিয়েছেন, কর্মক্ষেত্রেও কোভিডবিধি মেনে চলতে হবে।সংক্রমণ কমাতে সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলিকে আইসোলেশনে রাখতে হবে। দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন তিনি।

ঝুঁকি নিতে চান না কিম!
গত ক'দিন ধরেই দেশে বেড়ে চলেছিল সন্দেহজনক জ্বরের প্রকোপ। সেই জ্বর আসলে কীসের প্রভাবে হচ্ছে, তা জানতেই টেস্ট শুরু করেছিল কিম প্রশাসন৷ সেই পরীক্ষাতেই দেখা গেল, ওমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছেন উত্তর কোরিয়াবাসী। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়া এবং চিনে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব হওয়ায় তা ছড়িয়ে পড়ছে। ঠিক এই কারনেই বাড়তি ঝুঁকি নিতে চাননি কিম জং উন। সরাসরি জরুরি অবস্থা, দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণা করে দিয়েছেন।
ফের ঊর্ধ্বমুখী দেশে দৈনিক করোনা সংক্রমণ, কমল পর্যটক বুস্টার ডোজে সময়ের ফারাক