জল্পনা নয়, সত্যি মারা গিয়েছেন কিম জং উন! উত্তর কোরিয়ার গদিতে ইয়ো জং
এবার সত্যি মারা গিয়েছেন কিম জং উন। এমনই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। এর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রয়াত প্রেসিডেন্ট কিম দায়ে-জুংয়ের প্রাক্তন এক সহযোগী দাবি করেন, কোমায় রয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। চাঞ্চল্যকর এই দাবিতে আলোড়িত গোটা বিশ্বের কূটনৈতিক মহল। আরও দাবি যে উত্তর কোরিয়ার শাসন ভার কিম ইয়ো জংয়ের হাতে চলে গিয়েছে।
দেশের সবথেকে ক্ষমতাশালী ব্যক্তি
জানা যাচ্ছে কিম জং উন গুরুতর অসুস্থ থাকার কারণেই কয়েকদিন আগেই দেশের গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু ক্ষমতা তুলে দেওয়া হয়েছিল বোন কিম ইয়ো জংয়ের হাতে। আর সেই ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই কিম ইয়ো জং হয়ে উঠেছিলেন উত্তর কোরিয়ায় দ্বিতীয় সবথেকে ক্ষমতাশালী ব্যক্তি। তবে বর্তমানে কিম আর বেঁচে নেই বলে দাবি করল আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন সাংবাদিক রয় কেলি।
কিম জং উনের অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়েছে
কিম জং উনের অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়ায় তৎপর হয়ে উঠেছে পিয়ংইয়ং। গত কয়েক মাসে নিজেদের দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের বেশ কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেছে তারা। সেইসঙ্গে দাবি করা হচ্ছে, উত্তর কোরিয়ার এই বিতর্কিত শাসক সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন। যদিও কিম দায়ে-জুংয়ের প্রাক্তন সহযোগীর দাবি, পিয়ং ইয়ংয়ের তরফে প্রকাশ করা উন-এর ওই সব ছবি ভুয়ো। বাস্তবে উনি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। আবার অনেক বিশেষক্ষের মত উন মারা গিয়েছে।
কিমকে নিয়ে জল্পনার সূত্রপাত
কিম জং উনের শারীরিক অবস্থা নিয়ে জল্পনার শেষ নেই। চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল ছিল কিমের দাদুর জন্মদিন। এ উপলক্ষে ওই দিন আয়োজিত অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন কিম। এটি অনেক বড় বিষয়। কারণ কিমের দাদু উত্তর কোরিয়ার জাতির জনকের জন্মদিন দেশটির জন্য খুব বড় অনুষ্ঠান। কিম জং-উন কখনও এ অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকেননি। এরপরই শুরু হয় গুঞ্জন। এরপর হংকংয়ের এক সংবাদমাধ্যম দাবি করেছিল যে মারা গিয়েছেন কিম। তবে সেসব দাবিকে ভিত্তিহীন প্রমাণ করেছিলেন কিম।
কিম জং উনের বোন ক্ষমতায়
কিম ইয়ো জং বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে পিয়ংইয়ংয়ের নীতি ঠিক করেন। এছাড়াও আরও কিছু নীতি নির্ধারণের ক্ষমতাও রয়েছে তার। তবে ক্ষমতা বাড়ানোর পর তার আওতা কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে সে সম্পর্কে কিছু জানায়নি দক্ষিণ কোরিয়া।
কিমের ইতিবৃত্ত
১৯৮৭ সালে জন্ম নেওয়া কিম ইয়ো জং এবং কিম জং উন এক সঙ্গে সুইজারল্যান্ডের বার্নে পড়াশোনা করেছেন। ২০১৮ সালে ভাইয়ের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়া সফরে গিয়ে প্রথমবার আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণ করেন কিম ইয়ো জং। পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার ভাইয়ের সম্মেলন আয়োজনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি।
গান্ধী ঔদ্ধত্বে বিরক্ত কংগ্রেসের একাংশ! রাহুলকে তোপ কপিলের, পদত্যাগ করতে চাইলেন গুলাম নবি