কিম-কে প্রভাবিত করছে চিন! ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের আগে কি তা স্পষ্ট করলেন উঃকোরিয়ার নেতা
সিঙ্গাপুরে এই মুহূর্তে নজর রয়েছে গোটা বিশ্বের। বিশ্বমানচিত্রের দুই পরমাণু শক্তিধর দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার দেশনেতারা সেখানে বৈঠকে রয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার দেশনায়ক কিম জং উনের হাইভোল্টেড বৈঠক ঘিরে রীতিমত উদ্বিগ্ন আন্তর্জাতিক রাজনীতি। কিন্তু বৈঠক ঘিরে এই দুইদেশের নাম ছাড়াও উঠে আসছে তৃতীয় আরেকটি দেশের নাম। তা হল চিন। চিনের প্রভাব উত্তর কোরিয়া তথা কিম জং উনের ওপর কতটা তা ফের একবার স্পষ্ট হল বেশ কয়েকটি বিষয়কে ঘিরে।

কিম-এর সফর
ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে সিঙ্গাপুরে যান উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রনেতা কিম জং উন। সেখানে 'এয়ার চায়না'-র বিমানে উড়ে যান কিম। ফলে বৈঠক শুরুর আগে থেকেই সুস্পষ্ট হতে থাকে বেজিং -এর নেপথ্য প্রভাব। উল্লেখ্য, যেখানে উত্তর কোরিয়া কোনওভাবেই নিজের দেশের জিনিস ছাড়া, বিদেশী দ্রব্য ব্য়বহারের পক্ষে সওয়াল করে না,সেখানে খোদ দেশনায়ক কিম সফর করেছেন চিনের এয়ারলাইন্সে! ফলে বেজিং এই বৈঠকে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় রয়েছে তা ফের স্পষ্ট হল।
[আরও পড়ুন:পরস্পরের করমর্দন! সিঙ্গাপুরে শুরু ঐতিহাসিক বৈঠক]

চিন-কোরিয়া সম্পর্ক
২০১১ সালের পর পিওং ইয়ং ছেড়ে খুব একটা দূরে সফর করেননি কিম। কিন্তু এই প্রথমবার হাইভোল্টেজ রাজনৈতিক বৈঠকে চিনের এয়ারলাইন্সে সফর করে বগু রাজনৈতিক অঙ্ক স্পষ্ট করলেন কিম। অনেকেই মনে করছেন দুই দেশের মধ্যে সাম্প্রতিক কিছু বিভেদস থাকলেও 'ঠাণ্ডালড়াই' যুদ্ধের দুই সঙ্গী চিন ও উত্তর কোরিয়া আজও আঁতাতের সুরেই কথা বলছে।

চিন - উত্তর কোরিয়া ইতিহাস
১৯৫০-১৯৫৩ সালে মার্কিন শক্তি ও দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে একজোগে লড়াই করেছিল উত্তর কোরিয়া ও চিন। তবে পরমাণু বিতর্ককে কেন্দ্র কেরে বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই সম্পর্ক বিগড়ে যায়। সেই সম্পর্ক আবারও নতুন করে গড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তথা বিশ্বকে কোনও নতুন বার্তা দিতে চাইছেন কি কিম? এ প্রশ্নের উত্তর সম্ভবত তোলা রয়েছে সময়ের হাতে।

বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা
বহু রাষ্ট্রবিজ্ঞানীর মতে , কিম-ট্রাম্প বৈঠকে পরমাণু শক্তির ব্যবহারের বিষয়ে কোনও রফাসূত্র বেরিয়ে যদি না আসে, তাহলেও উত্তর কোরিয়াকে প্রচ্ছন্ন মদত দিয়ে যাবে চিন।

চিনের বক্তব্য
চিনের তরফে জানানো হয়েছএ, উত্তর কোরিয়ার আবেদনেই এই এয়ারলাইন্স কিমের জন্য পাঠিয়ে দেয় বেজিং। শুধু তাই নয় কিমের নিরাপত্তার বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হয় বেজিং এর তরফে। তবে কিমের সঙ্গে সফর করেননি তাঁর বোন কিম ইয়ো জং। তিনি আলাদা ফ্লাইটে সিঙ্গাপুর পৌঁছন। যে অনেকটাই মার্কিনি নীতির সঙ্গে সাযুজ্য রাখে। প্রসঙ্গত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট আর ভাইস প্রেসিডেন্ট একই ফ্লাইটে একসঙ্গে যাতায়াত করেননা। ফলে দেশের সংস্কৃতির আভিজাত্যও এর থেকে স্পষ্ট করেছেন কিম।