সৌদিতে সাংবাদিক খাশোগির দেহ ওভেনে ঢুকিয়ে 'সেদ্ধ' করা হয়েছে! বিস্ফোরক রিপোর্ট ঘিরে তোলপাড় বিশ্ব
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার দাবি, টানা ৩ দিন ধরে ওভেনের মধ্য়ে পুড়তে দেওয়া হয়েছিল সাংবাদিক জামাল খাশোগির দেহ।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার দাবি, টানা ৩ দিন ধরে ওভেনের মধ্য়ে পুড়তে দেওয়া হয়েছিল সাংবাদিক জামাল খাশোগির দেহ। যাতে নিশ্চিহ্ন করা যায় সমস্ত প্রমাণও। ওয়াশিংটন পোস্ট-এর সাংবাদিক জামাল খাশোগির মৃত্যু নিয়ে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে গোটা বিশ্বজুড়ে। সৌদি রাজপরিবার ঘনিষ্ঠ এই সাংবাদিক সৌদির যুবরাজপুত্র মহম্মদ বিন সলমনের চরম সমালোচক ছিলেন। খাশোগির মৃত্যুতে অনেকেই সৌদি রাজপুত্রের জড়িত থাকার দাবি করেছিলেন। যদিও সৌদি আরব তা কিছুতেই মানতে চায়নি। কিন্তু আলজজিরার সাম্প্রতিক রিপোর্ট কার্যত বোমা ফাটিয়ে দিয়েছে এই হত্যা রহস্যে ঘিরে।
দাবি ও পাল্টা দাবি
২০১৮ সালের ২ অক্টোবর জামাল খাশোগির মৃত্যুর পর থেকেই তোলপাড় শুরু হয় তাঁর দেহের খোঁজে। এরপর একাধিক তথ্য প্রকাশ্যে আসে। সৌদির কনস্যুলেটের ভবনের দেওয়ালে রক্তের দাগ খুঁজে পান তুরস্কের তদন্তকারীরা। যার নমুনা পরীক্ষা করে দেখা যায় সেই রক্তের দাগ সাংবাদিক জামাল খাশোগির। এরপর তুরস্ক সৌদির বিরুদ্ধে তোপ দাগতে থাকে। তুরস্কের প্রাথমিক দাবি ছিল, সৌদির প্রথমসারির নেতৃত্ব বিশেষ এজেন্ট দিয়ে নির্মমভাবে সাংবাদিক খাশোগিকে হত্যা করে দেহ লোপাট করেছে। মার্কিন গোয়েন্দাদেরও দাবি এই ঘটনার সঙ্গে সৌদি রাজপুত্রের যোগ রয়েছে। যদিও তাতে কান পাততে রাজি হয়নি সৌদি।
১০০০ ডিগ্রি ওভেন ও মৃত্যু!
তুরস্কের এক সংবাদ সংস্থার পর এবার আলজজিরার দাবি, খাশোগিকে ঘটনার দিন রিয়াধের কনস্যুলেটের বাড়িতে হত্যা করে সৌদির এজেন্ট অপরেটিভদের দ্বারা। সেই দিনই ১০০০ ডিগ্রির ওভেনে পুরে দেওয়া হয় মৃতদেহ, আর তা তিন দিন ধরে জ্বলতে থাকে, যতক্ষণ না দেহ 'সেদ্ধ' হয়ে গলে যায়। এমনই দাবি আলজজিরার। জানা যায়, তাঁর রক্তচিহ্ন কনস্যুলেটের দেওয়াল থেকে মুছতে তড়িঘড়ি দেওয়ালে রঙ করে দেওয়া হয় বলেও দাবি করে বহু সংবাদমাধ্য়ম।
কেন খাশোগি রিয়াধের কনস্যুলেটে যান?
শোনা যায়, সৌদি কনস্যুলেটে নিজের বিবাহবিচ্ছেদ সংক্রান্ত নথির জন্য গিয়েছিলেন খাশোগি। এরপর তাঁকে আবারও সেখানে ২ রা অক্টোবর ২০১৮ সালে যেতে বলা হয়। তবে যাওয়ার আগে , তাঁর বান্ধবী তথা হবু দ্বিতীয় স্ত্রীকে তিনি একটি ফোন নম্বর দিয়ে জানিয়ে যান, যে যদি তিনি ফেরত না আসেন, তাহলে তুরস্কের প্রেসিডেন্টকে যেন পোন করা হয়। উল্লেখ্য, ২ রা অক্টোবর ২০১৮ সালের পর থেকেই নিখোঁজ জামাল খাশোগি।