খালেদা জিয়া: করোনামুক্ত হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন, চলছে কোভিড পরবর্তী চিকিৎসা
শনাক্ত হওয়ার প্রায় চার সপ্তাহ পরে করোনামুক্ত হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন। তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেবে কি না সরকার, রোববার সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
করোনাভাইরাসে শনাক্ত হওয়ার প্রায় চার সপ্তাহ পরে করোনামুক্ত হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
শনিবার খালেদা জিয়ার তৃতীয় দফার পরীক্ষায় তার করোনাভাইরাস নেগেটিভ ফলাফল আসে বলে ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের একজন এবং বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, খালেদা জিয়া করোনামুক্ত হয়েছে এবং পোস্ট করোনার চিকিৎসা চলছে।
ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে এখন তার পোস্ট কোভিড এবং অন্যান্য জটিলতার চিকিৎসা চলছে বলে এই চিকিৎসক জানিয়েছেন।
গত ১১ এপ্রিল গুলশানের বাসায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। এরপর ২৫ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফার পরীক্ষায়ও ফলাফল 'পজিটিভ' আসে।
গত ২৭শে এপ্রিল পরীক্ষার জন্য তাকে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তেসরা মে তিনি শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে তাকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নিয়ে যাওয়া হয়।
এখনো তিনি সিসিইউতেই আছেন।
খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরেই ডায়াবেটিস বা আর্থরাইটিসসহ নানা রোগের চিকিৎসা নিয়েছেন এবং এখন ডায়াবেটিসের কারণেও তার অন্য চিকিৎসায় সাবধানতা অবলম্বন করতে হচ্ছে চিকিৎসকদের।
খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করাতে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে। রোববার এই বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
- যে আইনি প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়া সম্ভব
- খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে আরও যেসব জটিলতা রয়েছে
- খালেদা জিয়া: রাজনৈতিক যত সফলতা এবং ভুল
- বন্দী খালেদা জিয়ার মাথায় যত মামলা ও দণ্ড
- বিএনপি ও জিয়া পরিবারের রাজনীতি কোন পথে?
খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার পাঁচই মে বুধবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই লিখিত আবেদন জমা দিয়েছেন।
শামীম ইস্কান্দার বলেছেন, ডাক্তাররা তার বোন খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দেয়ার পর তারা সরকারের কাছে এই আবেদন করেছেন।
পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন এই আবেদনটিকে সরকার ইতিবাচকভাবেই দেখছে।
এর আগে যে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার যে নির্বাহী আদেশ দিয়েছিলো সরকার তাতে বলা হয়েছিলো মুক্তি পেয়ে মিসেস জিয়াকে বাসাতেই থাকতে হবে এবং এ সময় তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না।
২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
দেশজুড়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর ২০২০ সালের ২৫শে মার্চ ছয় মাসের জন্য নির্বাহী আদেশে মুক্তি পেয়েছিলেন মিসেস জিয়া।
এরপর প্রথমে সেপ্টেম্বরে ও পরে চলতি বছরের মার্চে আবারো ছয় মাসের জন্য তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়।
বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর:
অনিয়ন্ত্রিত চীনা রকেট ফিরে এলো পৃথিবীতে, পড়েছে ভারত মহাসাগরে
জেরুজালেমে দ্বিতীয় রাতের মতো সহিংসতায় বহু আহত
বাংলাদেশে ফেরিঘাটে জনস্রোত ঠেকাতে রবিবার থেকে বিজিবি মোতায়েন
করোনা টিকার প্রথম ডোজ নেয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ না পেলে কী হবে