কেনিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা : মূল চক্রী মোহামেদ একজন শিক্ষক!
নাইরোবি, ৪ এপ্রিল : বৃহস্পতিবার কেনিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা চালিয়ে প্রায় দেড়শো জনকে হত্যা করেছে জঙ্গিরা। সোমালিয়ার সীমান্তবর্তী গ্যারিসা শহরের এই বিশ্ববিদ্য়ালয়ে হামলার দায় স্বীকার করে নিয়েছে সোমালিয়ার ইসলামপন্থী জঙ্গি সংগঠন আল-শাবাব। এরা আবার আল-কায়েদার শাখা সংগঠন।
কেনিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে জঙ্গি হামলা, নিহত ১৪৭
চরমপন্থী এই জঙ্গি সংগঠনই আফ্রিকার বহু দেশের কাছে আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠেছে। আর এই গোটা পরিকল্পনাটা যার মস্তিষ্কপ্রসূত সেই জঙ্গি মস্তিষ্ককেই বা আমরা ক'জন চিনি বা তার নাম শুনেছি!
তার নাম মোহামেদ মোহামুদ ওরফে দুল্যাদিন ওরফে গামাধেরে, যে ওই অঞ্চলে আতঙ্কের শিক্ষক হিসাবে পরিচিত।
বৃহস্পতিবারের জঙ্গি হামলার বহু আগে থেকেই যে কেনিয়ার পুলিশ প্রশাসনের কেষ্টবিষ্টুদের কাছে আতঙ্কের কারণ হয়ে ওঠে।
মোহামুদ জঙ্গিদের মিলিটারি কম্যান্ডার। সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসুর একটি সামরিক ঘাটির কম্যান্ডার মোহামুদ কেনিয়ায় হওয়া আল শাবাবের সবকটি বড় হামলার পিছনে রয়েছে বলে ধারণা প্রশাসনের। এমনকী গত মাসে কেনিয়ার সংসদে হামলার জন্য ১২জন জঙ্গিকে পাঠানো হয়েছিল। পরে জানা যায়, তাদেরকে মোহামুদই পাঠিয়েছিল।
গত বছর বড়দিনের আগে কেনিয়ার পুলিশ দুই জঙ্গির ছবি প্রকাশ করেছিল এবং তাদেরকে ধরিয়ে দিতে পারলে বিশাল অঙ্কের পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল। এদের মধ্যেই একজন হচ্ছেন মোহামেদ মোহামুদ ।
নাইরোবি পুলিশের অপরাধদমন বিভাগের সহ অধ্যক্ষ গিডইয়ন কিমিলু জানান, গত বছরের শেষে নভেম্বরে সোমালিয়ার সীমান্তে মান্দেরায় বোমা মেরে ২৮ জন অ-মুসলমানকে হত্যা করা হয়। এর ঠিক দশদিন পরই ৩৬ জন অ-মুসলমান খনি শ্রমিককে হত্যা করা হয়। দুটি ঘটনার পিছনেই মোহামুদের হাত রয়েছে বলে মনে করছে নাইরোবি পুলিশ।
১৯৯৭ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত গ্যারিসারই একটি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ছিল মোহামেদ মোহামুদ। সেখানে জঙ্গি প্রশিক্ষণের কাজ চলত। এরপর ১৫ বছর আগে সে আল-শাবাবে যোগ দেয়। তারপর এত বছরে ধীরে ধীরে গোটা কেনিয়ায় সন্ত্রাসের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে মোহামেদ।