পুলিৎজার পুরস্কার নিতে আমেরিকায় যেতে বাধা কাশ্মীরি ফটোগ্রাফারকে, ক্ষুব্ধ ভারতীয় সংবাদ মহল
পুলিৎজার পুরস্কার নিতে আমেরিকায় যেতে বাধা কাশ্মীরি ফটোগ্রাফারকে, ক্ষুব্ধ ভারতীয় সংবাদ মহল
২০২০ সালে ভারতীয় ফটোগ্রাফার সানায়া মাট্টু সেরেনডিপিটি আরলেস গ্রান্ট -২০২০ সালে বিজয়ী হওয়ার জন্য প্যারিসে একটি প্রদর্শনী হয়। জুলাই প্যারিসের সেই অনুষ্ঠানে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি ভারত সরকার। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি আমেরিকা যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। সেক্ষেত্রেও বাধা দেয় ভারত সরকার। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেছে প্রেস ক্লাব অফ ইন্ডিয়া। কেন বার বার বিদেশে যাওয়ার আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রেস ক্লাব অফ ইন্ডিয়া। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, বার বার কেন্দ্র সরকার দাবি করছে, ভারতের সঙ্গে কাশ্মীরের ব্যবধান ঘোচানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু এই ধরনের সিদ্ধান্ত কাশ্মীরের নাগরিকদের ভারতের অন্যান্য নাগরিকদের থেকে আলাদা করে দিচ্ছে। যা কখনই কাম্য নয়।
কেন্দ্র সরকারের কাছে কৈফিয়ৎ চেয়ে প্রেস ক্লাব অফ ইন্ডিয়ার তরফে জানানো হয়েছে, একদিকে কেন্দ্র সরকার কাশ্মীরকে ভারতের মূল ধারার সঙ্গে মেশানো সর্বাত্মক চেষ্টা করছেন। অন্যদিকে এই ধরনের সিদ্ধান্ত প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছে। কেন্দ্র সরকারের সিদ্ধান্তের জেরেই কাশ্মীরের নাগরিকরা আরও বেশি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। পিসিআই জানিয়েছে, আমরা লক্ষ্য করেছি সানায়া মাট্টুর চার মাসের মধ্যে দুবার বিদেশে যাওয়ার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে। তাঁকে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানেও যোগ দিতে বাধা দেওয়া হয়েছে। তিনি যদি পুরস্কার বিতরণী অনু্ষ্ঠানে যেতেন, দেশের সম্মান আরও বেড়ে যেতো। এছাড়াও মার্কিন সরকার তাঁকে ভ্রমণের জন্য একটি বৈধ ভিসা দিয়েছে। কিন্তু তারপরেও কেন্দ্র তাঁকে আমেরিকায় যেতে বাধা দিচ্ছে। পিসিআই জানিয়েছে, এই বিষয়ে কেন্দ্রে পরিষ্কার ও স্বচ্ছ অবস্থান প্রয়োজন। কেন কেন্দ্র বার বার মাট্টুকে বিদেশ ভ্রমণে বাধা দিচ্ছেন তা জানানো প্রয়োজন।
মার্কিন
বিদেশ
মন্ত্রকের
তরফে
জানানো
হয়েছে,
তিনি
পুলিৎজার
পুরস্কার
পেয়েছেন।
পুরস্কার
সংগ্রহের
জন্য
১৭
অক্টোবর
দিল্লি-নিউ
ইয়র্ক
বিমানে
উঠতে
তাঁকে
বাধা
দেওয়া
হয়।
২০২০
সালে
ভারতে
করোনা
মাহামারী
প্রকোপের
ছবি
তুলে
ধরার
জন্য
তিনি
এই
পুরস্কার
পেয়েছেন।
মাট্টু
সোশ্যাল
মিডিয়ায়
লিখেছেন,
তাঁকে
১৭
অক্টোবর
বিমানে
উঠতে
বাধা
দেওয়া
হয়।
এই
ধরনের
অনুষ্ঠানে
যোগ
দেওয়ার
সুযোগ
জীবনে
একবার
আসে।
কিন্তু
সরকার
আমার
কাছ
থেকে
সেটাও
ছিনিয়ে
নিল।
প্রসঙ্গত,
চলতি
বছরের
জুলাই
মাসে
সেরেনডিপিটি
আর্লস
গ্রান্ট
-২০২০
এর
বিজয়ী
হিসাবে
একটি
ফটোগ্রাফি
প্রদর্শনীর
জন্য
প্যারিসে
যাওয়ার
অনুমতি
দেওয়া
হয়নি