কাশ্মীরে অশান্তির পিছনে রয়েছে লস্কর জঙ্গিরা, জানাল জঙ্গি হাফিজ সঈদ
নয়াদিল্লি, ২৮ জুলাই : হিজবুল জঙ্গি বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর থেকে কাস্মীর উপত্যকায় অশান্তি কার্যত চরমে পৌঁছেছে। সেনার সংঘর্ষে আমজনতা ও জনতার বেশে থাকা জঙ্গি সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে ২ জন পুলিশকর্মীও রয়েছেন। এছাড়া আহতের তালিকায় রয়েছে কয়েক হাজার মানুষের নাম। [কাশ্মীরে অশান্তির জন্য হাওয়ালার মাধ্যমে ১০০ কোটি টাকা পাঠিয়েছে পাকিস্তান]
এহেন অশান্ত কাশ্মীরে গন্ডগোল বাধানোর দায় যখন ভারতের গোয়েন্দারা পাকিস্তানের জঙ্গিদের উপরেই দিয়েছেন তখন পাক সরকার ফুঁসে উঠেছে। তবে এবার সেদেশেই বহাল তবিয়তে থাকা জামাত-উদ-দাওয়া জঙ্গি সংগঠনের মাথা তথা ২০০৮ মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড আন্তর্জাতিক জঙ্গি হাফিজ সঈদ জানিয়েছে, কাশ্মীরে অশান্তির পিছনে সরাসরি রয়েছে লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গিরা। [টাওয়ার ছাড়াই মোবাইলে যোগাযোগের নয়া উপায় বাতলেছে পাক জঙ্গিরা!]
হাফিজ পাকিস্তানে বসে একেবারে স্বগর্বে জানিয়েছে, কাশ্মীরে বিক্ষোভ, অশান্তিতে নেতৃত্ব দিয়েছে লস্কর জঙ্গিরা। আর তাদের সকলের আগে ছিল এক লস্কর জঙ্গি যে দলে 'আমির' হিসাবে পরিচিত। [হিজবুল কম্যান্ডার বুরহান ওয়ানির জঙ্গি হয়ে ওঠার কাহিনি]
জাতিসংঘের বিচারে হাফিজ সঈদ একজন আন্তর্জাতিক জঙ্গি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার মাথায় দাম রেখেছে ৬৭ কোটি টাকা। পাকিস্তানের নওয়াজ শরিফ সরকার যখন কাশ্মীরে অশান্তির ঘটনায় পাক জঙ্গিদের অস্তিত্ব অস্বীকার করেছে তখন লস্করের সঙ্গে হাত মেলানো হাফিজ সঈদ বুক ঠুকে ভারতের অশান্তির কথা স্বীকার করেছে। [কাশ্মীর উপত্যকায় জঙ্গি দলে নাম লেখাচ্ছে কারা? জেনে নিন]
হাফিজ সঈদ আরও জানিয়েছে, কাশ্মীর ছাড়া পাকিস্তান অসম্পূর্ণ। ঈশ্বরের দয়ায় একদিন কাশ্মীর পাকিস্তানের অংশ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে সে। ভারত একদিন টুকরো টুকরো হবে। এবং যতদিন তা না হয়, সংগ্রাম জারি থাকবে বলে দাবি করেছে এই আন্তর্জাতিক জঙ্গি।
একইসঙ্গে পাকিস্তান সরকারের কাছে হাফিজের দাবি, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যগত সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করুক পাকিস্তান। বলিউডের সিনেমাও দেখানো বন্ধ করে দিক।
প্রসঙ্গত, ২০০১ সালের লোকসভায় হামলা, ২০০৬ সালে মুম্বইয়ের লোকাল ট্রেনে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ, ২০০৮ সালের মুম্বই হামলা সহ ভারতে একাধিক নাশকতায় সরাসরি নাম উঠে এসেছে এই হাফিজ সঈদের। তা সত্ত্বেও পাকিস্তানের সরকারে মদতে সেদেশে বসে বহাল তবিয়তে ভারত ধ্বংসের ছক কষে চলেছে সঈদ।