ভারতীয় নাড়ির টানের চেয়েও কীসে বেশি গুরুত্ব দেন কমলা! রাজনীতি,ছেলেবেলা নিয়ে তাঁর পরিবার কী জানাচ্ছে
মার্কিন নির্বাচন দোড়গোড়ায়। নভেম্বরের এই মহারাজনৈতিক সমারোহ নিয়ে গোটা আমেরিকা উত্তেজনার ফুটতে শুরু করে দিয়েছে। এমন এক পরিস্থিতিতে ডেমোক্র্যাটদের তরফে বিবেচিত হয়েছে কমলা হ্যারিসের নাম। এদিকে ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলাকে নিয়ে তাঁর মামার স্মৃতি চারণায় একাধিক বিষয় উঠে এল।
ভাইঝির কথা এক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে এদিন জানান কমলার কাকা বালাচন্দ্রন। জানান ইমেল হ্যাক হওয়ার ভয়ে নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও কথাই কমলার সঙ্গে তিনি বলেন না। েবশিরভাগ সময়ই কমলার সঙ্গে বালাচন্দ্রনের মেয়ে যোগাযোগ রাখেন। প্রশ্ন করা হয় যে, কমলা নির্বাচন জিতলে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক কি আরও মজবুত হবে? উত্তরে কমলার মামা জানান, চিরকালই কমলা মানাবাধিকারকে ভারতীয় হওয়ার আবেগের থেকে বশি অগ্রাধিকার দিয়েছেন।
পাশাপাশি বালাচন্দ্রনের দাবি, কমলা একজন সেনেটার হিসাবে এরাই ভারত-মারকিন সম্পর্ককে ঘুরিয়ে দিতে পারবেন না, যদি তিনি জেতেনও। তবে মানবাধিকার ও জনতার অধিকার কমলার কাছে চিরকালই গুরুত্বের।
মানবাধিকার প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বালাচন্দ্রন জানান, কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা নিয়েও নিশ্চয়ই কমলা নিজের অবস্থান রাখবে। তবে কাশ্মীর ভারতের ইস্যু বলে নয়, বরং কাশ্মীরের মানুষর অধিকার নিয়ে নিশ্চয় তিনি বক্তব্য রাখবেন বলে আশা কমলার কাকার। তবে তাঁর আশা কমলা মার্কিন নির্বাচনে বড় ছাপ ফেলবেন।
কমলার পরিবারের সকলে সেই ছোট্ট কমলাকেই মনে করে চলেছেন। সকলেই বলছেন, ছোট থেকে সকলকে আগলে রাখত কমলা। উল্লেখ্য, কমলার মা শ্যামলা গোপালন ১৯ বছর বয়সে মার্কিন মুলুকে পাড়ি দেন।বিজ্ঞানে নিজের কেরিয়ার গড়তেই সেখানে যান শ্যামলা তারপর জ্যামাইকার বাসিন্দা ডোনাল্ড হ্যারিসের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। এরপর কোল আলো করে আসেন কমলা। যাঁকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে গোটা পরিবার।