সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও ফের কানাডার প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন জাস্টিন ট্রুডো
কানাডার ৪৩তম জাতীয় নির্বাচনে জয়লাভ করেছে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টি।
কানাডার ৪৩তম জাতীয় নির্বাচনে জয়লাভ করেছে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টি। এবারের নির্বাচনে ট্রুডোর ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি, তাই ট্রুডোকে সংখ্যালঘু সরকার গঠন করতে হবে। সোমবার কানাডায় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভোট গণনা শুরু হতেই দেখা যায় যে জাস্টিন ট্রুডোর লিবারেল পার্টি এগিয়ে রয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় ট্রুডোকে সংখ্যালঘু সরকার গঠন করতে হবে।
১০টি প্রদেশ নিয়ে গঠিত কানাডা আয়তনের দিক থেকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। প্রায় চার কোটি মানুষের দেশটিতে এবারের নির্বাচনে অংশ মোট ছয়টি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছে। দলগুলো হচ্ছে লিবারেল, কনজারভেটিভ, নিউ ডেমোক্র্যাটিক, ব্লক কুবেকুয়া, গ্রিন ও পিপলস পার্টি অব কানাডা।পাঁচ সপ্তাহের নির্বাচনি প্রচারণা শেষে সোমবার দেশটিতে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। ৩৩৮ আসনের মধ্যে ১৫৬টি আসন পেয়েছে লিবারেল পার্টি। অন্যদিকে জাস্টিনের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টি অব কানাডা পেয়েছে ১২২টি আসন। এছাড়া ব্লক কুবেকুয়া পেয়েছে ৩২টি, নিউ ডেমোক্রেটিক ২৪টি, গ্রিন পার্টি ৩টি, ইন্ডিপেনডেন্ট ১ টি।
ভোটগ্রহণ পর্বের শুরুতেই পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে ট্রুডোর পিছিয়ে পড়ার আভাস স্পষ্ট হলেও দিনশেষে দেখা যায় যে, পার্লামেন্টের অধিকাংশ আসনের নিয়ন্ত্রণ নিতে যাচ্ছে তার দল লিবারেল পার্টি অফ কানাডা। দ্বিতীয়বারের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ট্রুডোর দলের দরকার ছিল ১৭০টি আসন। কিন্তু সেখানে তারা পেয়েছে ১৫৬টি আসন। এর জেরে ট্রুডোর দলকে গুরুত্বপূর্ণ কোনো আইন পাস করতে বামপন্থি বিরোধীদলগুলোর সমর্থনের উপর নির্ভর করতে হবে। এদের মধ্যে অন্যতম হল জগমিত সিংয়ে নেতৃত্বাধীন নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এনডিপি)।
আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, নিরাপত্তা জোরদার করছে ফেসবুক