জন স্নো-র গবেষণাতেই খোঁজ কলেরার উত্সের, এই পদ্ধতিতেই চলছে করোনার উত্স সন্ধান
জন স্নো-র গবেষণাতেই খোঁজ কলেরার উত্সের, এই পদ্ধতিতেই চলছে করোনার উত্স সন্ধান
করোনা বিধ্বস্ত গোটা বিশ্ব। সমস্ত দেশ মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় ৩ লক্ষ ৫৯ হাজারের ঘরে। পাশাপাশি মতের সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় আড়াই লক্ষের কাছাকাছি।
করোনার উত্পত্তি নিয়েই ধন্দে বিজ্ঞানীরা
এজিকে করোনা প্রতিষেধক আবিষ্কারের জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। পাশাপাশি ট্রায়াল ভ্যাকসিনে সুফল মিলছে খুব কম ক্ষেত্রেই। এদিকেই করোনার উত্পত্তি নিয়েই ধন্দে বিজ্ঞানীরা। সেটি জানা গেলেই সহজ হবে ভ্যাকসিন তৈরির কাজ। এমনটাই জানাচ্ছেন পৃথিবী বিখ্যাত ভাইরোলজিস্টরা।
কবে শেষ হবে করোনা মহামারি ?
এদিকে বিশ্বের ৭০০ কোটিরও বেশি মানুষের মনে এখন একটাই প্রশ্ন, কবে শেষ হবে করোনা মহামারী। এর আগে আমরা যদি পৃথিবীর বুকে মহামারীর বিগত ইতিহাসগুলো দেখি, তাহলে দেখব প্লেগ, গুটিবসন্ত, কলেরা, স্প্যানিশ ফ্লুতে কোটি কোটি লোক মারা গেছেন। একই সাথে কলেরার টিকা আবিস্কারেও লেগেছে অনেক সময়।
প্রথম কলেরার উত্সের সন্ধান দেন বিখ্যাত মহামারি বিশেষজ্ঞ জন স্নো
কিন্তু এখন এর টিকা পাওয়া গেলেও প্রাথমিক ভাবে এটি ঠেকানো গিয়েছিল এর উত্স অনুসন্ধানের পরেই। ১৮৫৪ সালে লন্ডনের ডাক্তার জন স্নো, প্রথম তাঁর গবেষণার মাধ্যমে আবিষ্কার করেন কলেরার উত্স। দূষিত জল থেকেই এই ভাইরাসের উত্পত্তি। তারপর ধাপে ধাপে উন্নতি হতে কলেরার চিকিত্সার। এখনও কলেরার সংক্রমণ দেখা যায়।
জন স্নোর গবেষণার সূত্র ধরেই চলছে করোনার উত্স অনুসন্ধান
যে সমস্ত দেশ গুলিতে বিশুদ্ধ জলের ব্যবহার কম সেখানেই কলেরার সংক্রমণ দেখা যায়। তালিকায় শীর্ষে রয়েছে আফ্রিকা। হাইতিতে কিছুদিন আগেও কলেরায় অনেক মানুষ মারা গেছেন। সূত্রের খবর, বর্তমানে প্রবাদপ্রতিম মহামারি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার জন স্নোয়ের গবেষণা পদ্ধতির ব্যবহারের মাধ্যমেই করোনার উত্স অনুসন্ধানের কাজ চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি মুম্বইয়ের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ মহেরারা দেশাই ও অপর এক চিকিত্সক স্বপ্নিল পারেখ করোনা মহামারির উপর একটি বই লিখেছেন বলে জানা যাচ্ছে। সেখানেও জন স্নোর কাজের বিশদ বিবরণ ও প্রাথমিক পর্যায় সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে।