পিছনে পড়লেন ওবামাও, রেকর্ড সংখ্যই ভোট পেয়ে মার্কিন নির্বাচনী ইতিহাসে নয়া নজির বাইডেনের
কাল বিকেল পর্যন্ত দোনামোনা চললেও রাত যত গড়াতে থাকে ততই ক্রমশ ম্যাজিক ফিগারের অনেকটাই কাছে চলে আসেন ডেমোক্র্যাটিক পদপ্রার্থী জো বাইডেন। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা ২৭০ ইলেক্টরাল কলেজের ভোটের সীমারেখা ছোঁয়া বাইডেন শিবিরের জন্য এখন শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা।
ভাঙছে অনেক পুরনো রেকর্ডই
এদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা স্পষ্ট জানাচ্ছেন এখনও পর্যন্ত বাইডেন যা ভোট পেয়েছেন তাতে মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের অতীতের বহু রেকর্ডই কার্যত ভেঙে গেছে। ভোট গণনা পর্বের শেষবেলা পর্যন্ত বাইডেনের ঝুলিতে যা ভোট পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে তাতে অতীতের বহু বিজয়ী রাষ্ট্রপতির প্রাপ্ত ভোটের রেকর্ডও ভেঙে যেতে পারে। এমনকী প্রাক্তন ডেমোক্র্যাটিক রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী বারাক ওবামারর রেকর্ডও ভেঙে ফেলেছেন বাইডেন।
পিছনে পড়েছেন ওবামাও
ন্যাশানাল পাবলিক রেডিও বা এনপিআর-র তথ্যানুযায়ী শুধুমাত্র ৪ঠা নভেম্বর পর্যন্তই বাইডেন প্রায় ৭ কোটির বেশি ভোট পয়েছেন। মার্কিন নির্বাচনী ইতিহাসে এই বিপুল পরিমাণ ভোট পাওার রেকর্ড এর আগে কোনও শিবিরের কোনও প্রার্থীরই নেই বলে জানাচ্ছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। অন্যদিকে ২০০০৮ সালের নির্বাচনে বারাক ওবামার ঝুলিতে গিয়েছিল ৬ কোটি ৯৪ লক্ষ ৯৮ হাজারের বেশি ভোট। সেখানে বর্তমান পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে ওবামার থেকে ইকিমধ্যেই প্রায় ৩ লক্ষেরও বেশি ভোট পেয়েছেন বাইডেন।
পপুলার ভোটেও ট্রাম্পের থেকে এগিয়ে বাইডেন
এদিকে পুলার ভোটের নিরিখেও রিপাবলিকান রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী তথা বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্টকে গুন গুনে গোল দিয়েছেন বাইডেন। এই ক্ষেত্রে বাইডেনের ঝুলিতে ট্রাম্পের থেকে প্রায় ২৭ লক্ষেরও বেশি ভোট গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এমনকী সুইং স্টেটগুলিতে গণনা প্রক্রিয়া যত এগিয়ে ততই দেখা যাচ্ছে চলতি নির্বাচনে ডোমোক্র্যাটদের দু হাত তুলে ভোট দিয়েছেন মার্কিনিরা।
বড় অংশের ভোট গণনা বাকি ব্যাটগ্রাউন্ড স্টেটগুলিতে
এদিকে এনপিআর-র তথ্য বলছে ব্যাটগ্রাউন্ড স্টেটগুলিতে এখনও একটা বড় অংশের ভোট গণনা বাকী রয়েছে। ওই রাজ্যগুলিতে গণনা পর্ব এগোলে সামগ্রিক চিত্র আরও পরিষ্কার হয়ে যাবে বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। যেন ক্যালিফোর্নিয়াতে এখনও পর্যন্ত ৬৪ শতাংশ ভোট গণনা সারা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে বুধবার পর্যন্ত ৬.৭ কোটির বেশি ভোট ফেলে ওবামার পুরনো রেকর্ডের অনেকটাই কাছে চলে গিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।