হোয়াইট হাউজে ঢুকে যেকোনও সময় চিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারেন জো বাইডেন!
জো বাইডেনের অধীনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চিনের সম্পর্ক কেমন হবে? এই নিয়ে বিস্তর জল্পনা ও আলোচনা চলছে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলে। এই আবহে এবার চিনের কমিউন্সিট সরকারের একজন উপদেষ্টা চাঞ্চল্যকর দাবি করেন। চিনা কূটনীতি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ঝেং ইয়োংনিয়া বলেন, 'চিন-মার্কিন সুসম্পর্কের পুরনো দিন আর ফিরে আসবে না।'
মার্কিন-চিন স্নায়ুযুদ্ধ এখনই মিটবে না
শেনঝেন ভিত্তিক থিংকট্যাংক অ্যাডভান্সড ইনস্টিটিউট অফ গ্লোবাল অ্যান্ড কনটেম্পোরারি চায়না স্টাডিজের প্রধান ঝেং ইয়োংনিয়ান বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চিনের স্নায়ুযু্দ্ধের পরিস্থিতি কয়েক বছর ধরেই চলছে আর এই অবস্থা রাতারাতি উধাও হয়ে যাবে না।
চাপে পড়তে পারেন জো বাইডেন
তিনি আরও বলেন, 'হোয়াইট হাউজে ঢোকার পর চিন নিয়ে মার্কিন জনগণের মধ্যে তৈরি হওয়া বিরক্তির চাপে পড়তে পারেন জো বাইডেন। মার্কিন সমাজ বিভক্ত হয়ে পড়েছে। বাইডেন এনিয়ে কিছু করতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস হয় না। ট্রাম্প কিন্তু যুদ্ধ চাইতেন না। কিন্তু ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্ট যুদ্ধ শুরু করে দিতে পারেন।'
বাইডেন দুর্বল প্রেসিডেন্ট হবেন
তিনি আরও বলেন, আমাদের মনে হত যে ট্রাম্প গণতান্ত্রিক উপায়ে চলতে ইচ্ছুক নন। অপরদিকে বাইডেন এই দিক দিয়ে ট্রাম্পের থেকে ভালো হবেন। কিন্তু আদতে তিনি নিশ্চিতভাবে একজন দুর্বল প্রেসিডেন্ট হবেন। বাইডেন যদি অভ্যন্তরীণ ইস্যু সামাল দিতে না পারেন, তাহলে কূটনৈতিক ফ্রন্টে চিনের বিরুদ্ধে কিছু করতে পারেন। তাতে দেশে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে।
বাইডেনের অধীনে মার্কিন-চিন সম্পর্ক
এদিকে এখনও ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাজনৈতিক একগুঁয়েমির জেরে হোয়াইট হাউজের ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে চলছে টালবাহানা। তবে এরই মাঝে সেই দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁর প্রশাসন কীভাবে চলবে, তার রূপরেখা তৈরি করতে শুরু করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট জো বাইডেন। হোয়াইট হাউজের কুর্সিতে বসতে বাইডেনের এখনও দেরি রয়েছে। তবে তার আগেই নিজের প্রশাসনিক পথ ঠিক করে ফেলছেন বাইডেন। জো বাইডেন স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে চিনকে সব নিয়ম মেনেই চলতে হবে, নচেৎ আমেরিকার পক্ষ থেকে কোনও রেয়াত তারা আশা করতে পারবে না।
শুরু মেরুকরণের রাজনীতি, একুশের আগে সুর চড়িয়ে বিজেপির 'রাস্তা পরিষ্কার' করছেন ওয়েইসি