আজই বাতিল হবে ট্রাম্পের একাধিক পদক্ষেপ, হোয়াইট হাউজে ঢুকেই যা যা করবেন বাইডেন
গত চার বছর ধরে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে যে পথে যেতে দেখা গিয়েছে, জো বাইডেন সম্পূর্ণ একটি ভিন্ন পথে দেশকে নিয়ে যাবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এর মধ্যে যেমন রয়েছে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে মোকাবিলা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি, তেমনই রয়েছে পরিবেশ, শিক্ষা ও অনান্য বিষয়।

ট্রাম্পের একাধিক পদক্ষেপকে বাতিল করবেন বাইডেন
প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই ট্রাম্পের একাধিক পদক্ষেপকে বাতিল করবেন বলে জানালেন জো বাইডেন৷ যেখানে উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্ত হল মুসলিম দেশ থেকে অভিবাসীদের আমেরিকায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তকে খারিজ করা৷ মুসলিমদের আমেরিকায় প্রবেশ আটকাতে ডোনাল্ড ট্রাম্প নয়া অভিবাসন নীতি নিয়ে এসেছিলেন৷ সেই নীতিকে বাতিল ঘোষণা করা হবে বলে জো বাইডেনের দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে৷ এমনকি মেক্সিকো ও আমেরিকার সীমান্তে যে পাঁচিল তোলার কাজ শুরু করেছিল ট্রাম্প, তাতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে৷

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় ফিরবে আমেরিকা
তবে, শুধুই অভিবাসন নীতি খারিজ করা নয়৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় আবারও আমেরিকার সংযুক্তিকরণের আবেদন জানাবে জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন মার্কিন সরকার৷ গতবছর সেপ্টেম্বর মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্ব স্বাস্থ্য় সংস্থা থেকে আমেরিকার নাম প্রত্য়াহার করে নিয়েছিলেন৷ ট্রাম্পের সেই সিদ্ধান্তও আজ খারিজ করা হবে বলে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে৷ আমেরিকার নাম আবারও বিশ্ব স্বাস্থ্য় সংস্থায় নথিভুক্ত করতে আবেদন জানাবে আমেরিকা৷

প্যারিস জলবায়ু চুক্তির সঙ্গে ফের জুড়বে আমেরিকা
প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বেরিয়ে এসেছিল ট্রাম্পের নীতির কারণে। এর ফলে পরিবেশ দূষণের সুরক্ষার বিষয়টি দুর্বল হয়ে পড়েছে। ডেমোক্র্যাটিক পার্টি থেকে নির্বাচিত পরবর্তী প্রেসিডেন্ট সেই নীতি প্রত্যাহার করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছেন। ট্রাম্প অ্যাফ্রোডেবল কেয়ার অ্যাক্টকে শেষ করতে চেয়েছিলেন। সেখানে বাইডেন 'ওবামা কেয়ার'-এর বিষয়টি বৃদ্ধি করতে চেয়েছেন।

১.৯ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের পরিকল্পনা
১৪ জানুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট জো বাইডেন একটি ১.৯ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছে। এতে দেশের অর্থনীতিকে যেমন পুনরুদ্ধার করা হবে। তেমনই কোরোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করা হবে। সমান্তরাল ভাবে একদিকে যেমন এটা অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে সাহায্য করবে, তেমনই জনস্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলে প্যানডেমিকের উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারবে।

আমেরিকান রেসকিউ প্ল্যান
এর নাম দেওয়া হয়েছে, 'আমেরিকান রেসকিউ প্ল্যান'। এর উদ্দেশ্য প্যানডেমিককে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা। ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজে গতি নিয়ে আসা এবং অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে সংকটে পড়ে যাওয়া ব্যক্তি, প্রদেশ ও স্থানীয় সরকারকে এবং ব্যবসা আর্থিক সাহায্য করার বিষয়টিও এর মধ্যে থাকবে।

সম্পদের অসমবণ্টন সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান
এদিকে বাইডেন জানিয়েছেন যে যতদিন না কোভিড-১৯ কে থামানো যাচ্ছে, ততদিন অর্থনীতিকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে না। দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা সমাধানের জন্য প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট ফেডারেল ব্যবস্থার উপর জোর দিয়েছেন, যাতে আর্থিক মন্দাকে এড়ানো যায়। আর অ-শ্বেতাঙ্গ আমেরিকানদের উপর আসমাঞ্জস্যপূর্ণ ভাবে পড়া সম্পদের অসমবণ্টন সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করা যায়।
