তিব্বত ইস্যুতে চিনকে চেপে ধরতে মরিয়া বাইডেন, নির্বাচনী বৈতরণী পার করেই দলাই লামার সঙ্গে সাক্ষাৎ
ক্রমেই বাড়ছে আমেরিকা-চিন দ্বন্দ্ব। একদিকে যখন আমেরিকার বিদায়ী রাষ্ট্রপতি বারংবার চিনের বিরুদ্ধে কোঠের অবস্থান নিচ্ছেন তখন তিব্বতে চিনা আগ্রাসন নিয়ে কড়া বার্তা দিলেন জো বাইডেনও। লাদাখে ভারত-চিন সংঘাতের আবহেই এবার তিব্বত নিয়ে মুখ খুলতে দেখা গেল আমেরিকার আসন্ন নির্বাচনের ডেমোক্রাটিক শিবিরের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী জো বাইডেনকে।
চিনকে সামনে রেখে চড়ছে আমেরিকার নির্বাচনের পারদ
বাইডেনের সাফ কথা ‘তিব্বত ইস্যুতে কোনও ছাড় দেওয়া হবে না চিনকে।' রাষ্ট্রপতি পদে জিতলে তিনি শীঘ্রই দলাই লামার সঙ্গে দেখা করবেন বলেও জানান। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পারদ যতই এগিয়ে আসছে ততই চিনকে সামনে রেখে ভোটের উত্তেজনা বাড়াতে চাই রিপাপলিকান ও ডেমোক্র্যাট দুই শিবিরই।
তিব্বতের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়েও সরব বাইডেন
এদিকে সাম্প্রতিককালে একাধিক ইস্যুতে চিনের কার্যকলাপে যথেষ্টই ক্ষুব্ধ জো বাইডেন। সম্প্রতি তিব্বতে চিনা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সরবও হয়েছেন তিনি। আসন্ন ভোটে ডেমোক্র্যাটরা ক্ষমতায় এলে তিব্বতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী চিনা কর্মকর্তাদের উপর নিষোধাজ্ঞা আরোপের হুঁশিয়ারিও দেন বাইডেন। এদিকে ১৯৫০-এর দশকে চিন প্রথম তিব্বত দখল করে।
দলাই লামার জন্মদিনে ফের তিব্বতকে চিনা দখল মুক্ত করার ডাক
এদিকে পরবর্তীকালে চিনা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মুখ খোলায় ১৯৫৯ সাল থেকেই নির্বাসন জীবন শুরু হয় তিব্বতি ধর্মগুরু দলাই লামার। বর্তমানে চিনের সঙ্গে সংঘাতের আবহেই সেই দলাই লামার সঙ্গেই দেখা করতে চাইছেন জো বাইডেন। বর্তমানে গত ৬ই জুলাই দলাই লামার জন্মদিনেই ফের চিনের হাত থেকে তিব্বতকে দখল মুক্ত করার ডাকও ওঠে।
তিব্বত ইস্যুতে ট্রাম্পকেও একহাত নিলেন বাইডেন
এদিক চিনা আগ্রাসন নিয়ে বলতে গিয়ে বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও একহাত নিতে দেখা যায় বাইডেনকে। তিব্বতে চিনা আগ্রাসন নিয়ে ট্রাম্পের নিরবতারও প্রতিবাদ জানান তিনি। বাণিজ্য চুক্তিতে মনোনিবেশ বিনা তিনি কোনও কাজই করছেন না বলেও অভিযোগ করেন। এদিকে ভারতকে চাপে রাখতে ইতিমধ্যেই তিব্বত সীমান্তে পরিতকাঠামো উন্নয়নে জোর দিতে চাইছে চিন। এর জন্য প্রায় ১৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগেরও পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে খবর।
মুখে এক, কাজে আরেক! লাদাখে ফের গতিবিধি ও সেনা বাড়াচ্ছে চিনের পিএলএ