বাইডেনের নয়া সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিনকেন, ভারত-মার্কিন সম্পর্ক নিয়ে কী ভাবেন তিনি?
২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি আমেরিকার ৪৬তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নিতে চলেছন জো বাইডেন। এর আগেই নিজের ক্যাবিনেট ঘোষণা করলেন জো বাইডেন। তাঁর ক্যাবিনেটের বিদেশ সচিব হিসাবে কাকে নিযুক্ত করা হবে, সেই দিকে নজর ছিল সবার। সেই পদে অ্যান্টনি ব্লিনকেনের নামের উপর সিল মোহর দেন জো বাইডেন। এরপরই এবার সবার মনে কৌতুহল জেগেছে, ব্লিনকেনের অধীনে মার্কিন বিদেশ নীতি কেমন হবে? ভারতের সঙ্গে কেমন হতে চলেছে মার্কিন সম্পর্ক?

ভারতের পাশেই থাকবে আমেরিকা
এর আগে মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রচার চলাকালীন ব্লিনকেন বলেছইলেন, 'রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্য পদ পাওয়া ভারতের অধিকার। এই পদের সবচেয়ে শক্তিশালী দাবিদার ভারত। ক্ষমতায় আসলে জো বাইডেন সরকারের প্রাথমিক কর্তব্যগুলির মধ্যে এটি একটি থাকবে। রাষ্ট্রসংঘে এই ইস্যুতে ভারতের পাশে রয়েছে আমেরিকা।'

ভারতের প্রশংসায় ব্লিনকেন
ব্লিনকেন ভারতের প্রশংসা করে বলেছিলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত খুবই কাছাকাছি থাকা দুটি দেশ। তাদের মধ্যে সুস্থ ও গঠনমূলক সম্পর্ক রয়েছে। নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দুই দেশ নিজেদের পারস্পরিক সম্পর্ক বজায় রাখবে। ভারত একই সাথে দুটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। একদিকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ, অন্যদিকে সীমান্তে চিনা আগ্রাসন। কিন্তু দুটি ক্ষেত্রেই মুখের ওপর জবাব দিচ্ছে ভারত।

ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির বিরোধী ব্লিনকেন
বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ছিলেন অভিবাসন বিরোধী। তবে ৫৮ বছর বয়সী ব্লিনকেন ট্রাম্পের সেই নীতিকে বারংবার সমালোচনা করেছেন। পর্যবেক্ষকদের মতে, ভারতের জন্যে খুব গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছেন ব্লিনকেনের বিদেশ নীতি। উল্লেখ্য, এর আগে ব্লিনকেনকে বলতে শোনা গিয়েছিল যে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক মজবুত করার পক্ষে সওয়াল করতে।

এর আগেও হোয়াইট হাউজে কাজ করেছেন ব্লিনকেন
বারাক ওবামা প্রশাসনের দ্বিতীয়ার্ধের বছর দুয়েক আন্ডার সেক্রেটারি পদে কাজ করেছিলেন ব্লিনকেন। পরে তিনি ডেপুটি ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ওই সময়ে বাইডেন ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট। এর আগে বিল ক্লিনটনের স্পিচ রাইটার পরে ক্লিনটনের অন্যতম জাতীয় নিরাপত্তা সহযোগী হিসাবে হোয়াইট হাউজে কাজ করেছিলেন তিনি।

মেরুকরণের সমীকরণ কষছে সবাই, ডিসেম্বরেই ওয়েইসি-শাহ 'ফেস-অফ' দেখতে পারে বাংলা