পাকিস্তান বিশ্বের সব থেকে বিপজ্জনক দেশ, ইসলামাবাদের সমালোচনা মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, পাকিস্তান বিশ্বের সব থেকে বিপজ্জনক দেশ
কিছুদিন আগেই পাকিস্তানেক যুদ্ধ বিমান মেরামতের জন্য বাইডেন প্রশাসন ব্যাপক অঙ্কের অর্থ অনুদান দিয়েছিল। মার্কিন রাষ্ট্রদূত পাক অধিকৃত কাশ্মীরে গিয়ে আজাদ কাশ্মীর বলে উল্লেখ করেছিলেন। কিন্তু মাস ঘুরতে না ঘুরতে সুর পাল্টালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কোনও রাখঢাক না করেই তিনি পাকিস্তানকে সব থেকে বিপজ্জনক দেশ বলে উল্লেখ করেছেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, কোনও সমন্বয় ছাড়ায় পাকিস্তান পারমাণবিক অস্ত্র রাখছে।
বিপজ্জনক দেশ পাকিস্তান
লস অ্যাঞ্জেলসে ডেমোক্র্যাটিক কংগ্রেসের একটি বৈঠকে যোগ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেখানে তিনি পাকিস্তানের পাশাপাশি রাশিয়া ও চিনের নিন্দা করেন। তিনি মার্কিন বিদেশ নীতি নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে চিন ও রাশিয়ার প্রসঙ্গ টানেন। তিনি চিন ও রাশিয়ার সমালোচনা করেন। তবে তিনি তাঁর বক্তব্য শেষ করেন পাকিস্তানের সমালোচনা করে। পাকিস্তানকে সব থেকে বিপজ্জনক দেশ বলে তিনি উল্লেখ করেন। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে শেহবাজ শরিফ পাকিস্তানের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক উন্নত করার চেষ্টা করছেন। পাক বিদেশমন্ত্রী বিলাবল ভুট্টো একাধিক নীতি শুধু আমেরিকাকে খুশি করতে নিয়েছে। সেক্ষেত্রে শরিফের সরকার বাইডেনের মন্তব্যে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়বে তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।
কী বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট
চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এমন একজন ব্যক্তি যিনি চান তাঁর কথায় নীতি তৈরি হবে। চিনের ক্ষেত্রে মার্কিন নীতি কি হবে সেটা দেশের প্রশাসন ঠিক করবে। রাশিয়ার ক্ষেত্রে মার্কিন নীতি কি হবে সেটাও আমেরিকার আভ্যন্তরীণ বিষয়। অন্য কেউ এটি পরিচালনা করতে পারেন না। এপরেই তিনি পাকিস্তানের প্রসঙ্গ টেনে আনেন। তিনি বলেন, পাকিস্তান অত্যন্ত বিপজ্জনক একটি দেশ। কোনও সমন্বয় ছাড়াই তারা পরমাণু অস্ত্র রাখছে।
চিন ও রাশিয়ার জোট আমেরিকার সঙ্গে ঝুঁকির কারণ
এক বিবৃতিতে জো বাইডেন বলেন, রাশিয়া ও চিন ক্রমেই আমেরিকার জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। রাশিয়া ও চিন জোট বাঁধছে, আমেরিকাকে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ফেলার চেষ্টা করছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। ইউক্রেনের রাশিয়ার সামরিক অভিযানের পর চিন ক্রমাগত রাশিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে। শুধু তাই নয়, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়ার পক্ষে বার বার ভোট দিয়েছে চিন। বাইডেন বলেছেন, রাশিয়ার আগ্রাসী মনোভাবকে বার বার আমেরিকা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে। ভবিষ্যতেও রাশিয়ার আগ্রাসী মনোভাবকে মার্কিন প্রশাসন বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবে। তবে সেক্ষেত্রে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে চিন বলে তিনি উল্লেখ করেন।