পাকিস্তানে জঙ্গিদের স্বর্গরাজ্যে সন্ত্রাসবাদের এই ‘আঁতুড়ঘর’ই ধ্বংস হয় বায়ুসেনার দাপটে
প্রত্যাঘাত শুরু। পুলওয়ামায় সেনা কনভয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভারতের ৪৪ সেনাকে খতম করেছিল জঙ্গিরা। তার বদলা নিতে পুরো জঙ্গি ঘাঁটিই উড়িয়ে দিল ভারতের বায়ু সেনা।
প্রত্যাঘাত শুরু। পুলওয়ামায় সেনা কনভয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভারতের ৪৪ সেনাকে খতম করেছিল জঙ্গিরা। তার বদলা নিতে পুরো জঙ্গি ঘাঁটিই উড়িয়ে দিল ভারতের বায়ু সেনা। পাকিস্তানের বালাকোটে সীমান্ত থেকে প্রায় ৬০ কিমি দূরে এই জঙ্গি-শিবির। মাত্র ২০ মিনিটের অপারেশনে তা নিশ্চিহ্ন করে দিল ভারতের সেনা। ভারতের তরফে কড়া জবাব পেল পাকিস্তান।
পাকিস্তান যে সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দেয়, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। পূর্বে বহু ঘটনায় না প্রমাণিত হয়েছে। এবারও পুলওয়ামা-কাণ্ডের পর যখন জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিগোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করল, তখনও পাকিস্তানের তরফে হামলার নিন্দা না করে জইশকে মদত জোগানোর বার্তা দিল। সাবধান করেও যখন কাজ হল না, পাকিস্তানের বুকে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়ে ভারত বুঝিয়ে দিল প্রত্যাঘাত চলবে।
Intel Sources: Picture of JeM facility destroyed by Indian Ar Force strikes in Balakot, Pakistan pic.twitter.com/th1JWbVrHw
— ANI (@ANI) February 26, 2019
লাদেন পাকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছিল। গোপন অভিযানে ওসামা বিন লাদেনকে নিকেশ করেছিল আমেরিকা। এখন পাকিস্তান সরকার মাসুদ আজহারের জঙ্গি কার্যকলাপ নিয়ে নিরুত্তর থেকেছে, সে দেশেই আশ্রয় নিয়ে আছে। পাকিস্তান কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায়, ভারত জবাব দিল। মাসুদ আজহারকে খতম করা না গেলেও, জইশের ঘাঁটি তছনছ করে দিল।
অ্যাবোটাবাদ থেকে মাত্র ৬০ কিমি দূরে অবস্থিত বালাকোট। সেখানে জইশের জঙ্গি ঘাঁটি উড়িয়ে দিল ভারত। পাখতুনখোয়ার এই অঞ্চলকে পাকিস্তান জঙ্গিদের স্বর্গরাজ্য করে রেখেছে। ২০০৫ সালের ভূমিকম্পে বালাকোট প্রায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। তারপরে ফের এলাকার উন্নয়ন পর জঙ্গিরা নিজেদের ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহার করছে।