উত্তপ্ত উত্তর-পূর্ব, দোটানায় জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে; বাতিল হতে পারে ভারত সফর
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভের জেরে এ দেশের উত্তপ্ত পরিস্থিতি এড়াতে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর বাতিল করার প্রবল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ভারতের সঙ্গে বাৎসরিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে আসার কথা তাঁর। জাপানের একটি দল বৈঠকের প্রস্তুতি পর্যালোচনা করতে বুধবার গুয়াহাটি সফরে যান। সূত্রের খবর সেই দেলর রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই এই সফর বাতিল করা হতে পারে।
১৫ থেকে ১৭ ডিসেম্বর ভারতে সফরে আসার কথা আবের
গত সপ্তাহে, ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রভীশ কুমার ঘোষণা করেন যে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং শিনজো আবের মধ্যে একটি বৈঠক হতে চলেছে এদেশে। সেই বৈঠকে যোগ দিতে ১৫ থেকে ১৭ ডিসেম্বর ভারতে সফরে আসবেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী। যদিও সরকারি ভাবে ওই বৈঠকের স্থান ঘোষণা করা হয়নি, তবে জানা গিয়েছে যে গুয়াহাটিতে বৈঠকটি আয়োজনের প্রস্তুতি চলছিল। সফর চলাকালীন মণিপুরেও যাওয়ার কথা ছিল জাপানের প্রধানমন্ত্রীর।
বিদেশমন্ত্রকের কাছে কোনও খবর নেই
বৃহস্পতিবার বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রভীশ কুমারকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে উত্তর-পূর্বের এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে সরকার বৈঠকের স্থান পরিবর্তনের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে কিনা এ বিষয়ে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্রের কাছে জানতে চাওয়া হলে রভীশ কুমার বলেন, 'আমি এই বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলার মতো অবস্থানে নেই। আমার কাছে এই সংক্রান্তে কোনও খবর নেই।'
অসমের রাস্তায় সেনাবাহিনী
এদিকে বৃহস্পতিবারই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে সম্মতি দিলে সেটি আইনে পরিণত হয়। এই আইনটি বাতিল করার দাবিতেই অসমে কারফিউ অমান্য করে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় প্রতিবাদ বিক্ষোভে নেমেছেন, অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে সেখানকার পরিস্থিতি। যদিও আজ সকালে কয়েক ঘণ্টার জন্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় কারফিউ শিথিল করা হয়েছে। তবে থমেথমে পরিস্থিতি আয়ত্তে রাখতে নামানো হয়ে সেনাবাহিনী।
|
বাংলাদেশের মন্ত্রীদের ভারত সফর বাতিল
এদিকে এর আগে ভারত সফর বাতিল করেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জমান খানের শিলং-এ এক বেসরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। এদিকে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হিসেবে ভারতের ঐতিহাসিক চরিত্রকে দুর্বল করবে। একইসঙ্গে তিনি তাদের দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিপীড়নের মুখোমুখি হওয়ার কথাও অস্বীকার করেন। যদিও ভারত সরকারের তরফে জানানো হয়, বাংলাদেশের পূর্বতন সামরিক সরকার এবং পূর্বতম সরকারের আমলেই এই নিপীড়ন হয়েছিল।