বন্যায় আর চিন্তা নেই , এসে গেল ভাসমান বাড়ি
Array
বন্যা হলে বাড়ি ঘর জলের তলায় চলে যায়। মানুষকে বাঁচাতে তখন নামতে হয় সেনাবাহিনীকে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে নামতে হয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে। তারা এসে মানুষকে উদ্ধার করে নিয়ে যান। দেওয়া হয় ত্রাণ। জাপান এসব থেকে মানুষকে রক্ষা করার জন্য একটা নতুন পদ্ধতি বার করে নিয়েছে। তারা সবসময়েই টেকনোলজিতে সেরা। সেই টেকনোলজি কাজে লাগিয়েই তারা বার করে ফেলেছে ভাসমান বাড়ি। এই বাড়ি বন্যা হলে ভেসে বেড়াবে। ডুবে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।
{image-_125595531 bengali.oneindia.com}
জাপানের একটি হাউজিং ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি 'ইচিজো কমুটেন' একটি ভাসমান বাড়ি উদ্ভাবন করেছে যা বন্যাপ্রবণ দেশগুলোর সমস্যা সমাধানে সাহায্য করবে বলে কোম্পানির দাবি। বাড়ির কাঠামোটি একদম অন্য ধরণের। এটি জলরোধী। সংস্থাটি বলেছে যে জলের স্তর বাড়লেই বাড়িটি ভাসতে শুরু করে।
একটি মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংস্থাটি বলেছে, "বাড়িটি দেখতে একটি সাধারণ বাড়ির মতো, কিন্তু যখন চারপাশে জল ভরতে শুরু করে, তখন বাড়িটি ধীরে ধীরে মাটি ছেড়ে উপরের দিকে উঠতে শুরু করে।" সংস্থাটি সাধারণ জনগণের জন্য ভাসমান বাড়িটি দেখিয়েওছে।
এদিকে, সংস্থাটি জানিয়েছে, "ঘরটি মোটা লোহার রড দ্বারা যুক্ত রয়েছে। এটি পুরু তারের মাধ্যমে মাটির সাথে সংযুক্ত থাকে, যা বন্যার সময় বাড়িটিকে উপরের দিকে ছেড়ে দেয় এবং বন্যা শেষ হওয়ার সাথে সাথে এটিকে আবার মাটিতে সংযুক্ত করে। জল কম হওয়ায় ঘর মাটি স্পর্শ করে। বৈদ্যুতিক জিনিস বসানো হয়েছে উপরের দিকে, যাতে সেখানে জল না পৌঁছায়। বাড়িটি পাঁচ মিটার পর্যন্ত উচ্চতায় ভাসতে পারে।"
অন্যদিকে, আসামও এই বছরের সবচেয়ে বিধ্বংসী বন্যার সাক্ষী হয়েছে, বন্যা এবং ভূমিধসের কারণে মৃতের সংখ্যা এখন রাজ্য জুড়ে ১৩৯-এ পৌঁছে গিয়েছে। বিপর্যয় প্রথম আঘাত হানে এই বছরের ৬ এপ্রিল। কাছাড় হল সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ জেলা যেখানে ৮.৬২ লক্ষেরও বেশি লোক এই বন্যার কবলে পড়েছেন, তারপরে বারপেটা রয়েছে। যেখানে প্রায় ৫.৭৩ লক্ষ মানুষ বন্যা কবলিত হয়েছেন এবং নগাঁওতে ৫.১৬ লক্ষেরও বেশি মানুষের জীবন বন্যার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে, শিলচর শহরের হাজার হাজার বন্যাক্রান্ত মানুষ টানা ন'দিনের ধরে পানীয় জলের তীব্র অভাবে ভুগছেন। ত্রাণ সামগ্রীর অভাব এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ তো নেই। তার সঙ্গে দেখা দিয়েছে এই পরিস্থিতি। দক্ষিণ আসাম জেলার শহরের বেশিরভাগ এলাকা কোমর থেকে হাঁটু পর্যন্ত জলে তলিয়ে গিয়েছে।