করোনা মহামারিতে বেড়েছে অবসাদ, ‘একাকীত্বের মন্ত্রী’ নিয়োগ করা হল এই দেশে
করোনা মহামারিতে বেড়েছে অবসাদ
২০২০ সালে করোনা ভাইরাস মহামারি ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে এটি শুধু ব্যবসা বা অর্থনীতির ওপরই প্রভাব ফেলেনি, মানুষের জীবন ও তার চেয়েও অনেক বেশি কিছুর ওপর প্রভাব ফেলেছে। সংক্রমণের আতঙ্কে অধিকাংশ সময় বাড়িতে বসে থাকার ফলে মানুষের জীবনে চলে এসেছে একঘেঁয়েমি, যার থেকে জন্ম নিয়েছে অবসাদ এবং অন্যান্য মানসিক অসুস্থতা, যা অতীতে কোন সময়ই দেখা যায়নি। তবে এখন সময় এসেছে এই মানসিক স্বাস্থ্যকে একটু গুরুত্ব দেওয়া।
বিবিসি অনুযায়ী, একবছর আগে করোনা ভাইরাস হানা দেওয়ার পর থেকেই জাপানি মহিলারা অবসাদের মতো মানসিক অসুস্থতার সঙ্গে লড়ছেন। গত বছর শুধুমাত্র অক্টোবরেই ৮৮০ জন মহিলা আত্মঘাতী আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে দেশে। এই সংখ্যা ২০১৯ সালের থেকে ৭০ শতাংশ বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি লক্ষ্য করে জাপান সিদ্ধান্ত নিয়েছে 'একাকীত্বের মন্ত্রী’ নিয়োগ করবে দেশে।
একাকীত্বের যন্ত্রণা সেই বোঝে যে একা থাকে। মনের ভিতরে অনেকসময় জমে রাশি রাশি অভিমান, কষ্ট, অভিযোগ। অথবা সুখের বা দুঃখের অনুভূতি। কারও সঙ্গে তা ভাগ করে নিতে না পেরে গুমরে কাঁদে মন। সেই সমস্যার কথা ভেবেই জাপান এই সিদ্ধান্ত নিল। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা ইতিমধ্যেই এই মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য মন্ত্রীসভার সদস্য তেতসুশি সাকামোটোর নাম প্রস্তাব করেছেন। তেতসুশি দেশের জন্মের হার নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছেন। এর পাশাপাশি তিনি এখন একাকীত্ব ও নিঃসঙ্গ মোকাবিলায় সরকারি নীতির তদারকিও করবেন। নতুন একাকীত্বের মন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী সুগা বলেছেন, 'বিশেষ করে মহিলারা নিঃসঙ্গতায় ভুগছেন এবং আত্মহত্যার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমি চাই আপনি বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখুন এবং একটি বিস্তৃত কৌশল পেশ করুন।’
সাকামোটো জানিয়েছেন তিনি চেষ্টা করবেন বিভিন্ন কার্যক্রমের প্রচারের মাধ্যমে একাকীত্ব ও সামাজিক নিঃসঙ্গতা প্রতিরোধ করার এবং মানুষের মধ্যে বন্ধন সুরক্ষিত রাখার। বিশেষজ্ঞ মিচিকো উয়েডা জানিয়েছেন, স্থায়ী কর্মসংস্থান না থাকার কারণে দেশের একা মহিলারা এ ধরনের সমস্যার মুখে পড়ছেন। এখন অনেক মহিলা বিয়ে করেননি, নিজেদের জীবন তাঁরা নিজেরাই চালনা করেন কিন্তু তাঁদের কাছে স্থায়ী চাকরি নেই। তাই যখনই কোনও কিছু ঘটে, তাঁদের ওপর আঘাত খুব কঠিনভাবে এসে পড়ে।
২০১৮ সালে ব্রিটেনেও এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছি। সেই সময় তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে এই মন্ত্রকের দায়িত্ব সঁপে দিয়েছিলেন ক্রীড়া ও নাগরিক সমাজের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী ট্রেসি ক্রাউচকে।
এবার তৃণমূলের কার ঘরে সিবিআই নোটিস, অনুব্রতর বার্তায় কোন ইঙ্গিত