ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে ভারত শান্তির পক্ষে অবস্থান করেছ, রাষ্ট্রসংঘে মন্তব্য জয়শঙ্করের
রাষ্ট্রসংঘে বিদেশমন্ত্রী বলেন, ভারত রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে শান্তির পক্ষে অবস্থান করছে
রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ইউক্রেন ইস্যুতে মন্তব্য করেন। তিনি রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ শেষের আহ্বান জানান। ভারত শান্তির পক্ষে অবস্থান করছে বলেও জয়শঙ্কর রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বৈঠকে মন্তব্য করেন।
নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে কী বললেন জয়শঙ্কর
ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী রাষ্ট্রসংঘে বক্তব্যের সময় বলেন, 'আমাদের প্রায়ই বলা হয়, কোন পক্ষে অবস্থান করছি। আমরা প্রতিবার সহজ, সরল ও সৎ উত্তর দিয়ে এসেছি। ভারত শান্তির পক্ষে অবস্থান করছে। আমরা তাদের পক্ষে রয়েছি, যারা রাষ্ট্রসংঘের নীতিগুলোকে মেনে চলছে ও সম্মান করছে। অর্থনীতিতে এই ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধের মারাত্মক প্রভাব পড়ছে।' বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, সেই দিকটা উল্লেখ করে বলেন, চলমান সংঘাতে অর্থনৈতিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এর প্রভাব খাদ্যদ্রব্য ও শক্তির ওপর পড়ছে। তিনি মন্তব্য করেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের পরে বিশ্বজুড়ে খাদ্য সঙ্কট দেখতে পাওয়া গিয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে।অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়ছে। এই যুদ্ধ বন্ধ করা প্রয়োজন।
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের অবস্থান
রাষ্ট্রসংঘের ৭৭ তম সাধারণ অধিবেশনে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর বক্তব্য রাখতে গিয়ে সন্ত্রাসবাদের প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন। তিনি মন্তব্য করেছেন, কীভাবে ভারত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করছে। তিনি বলেন, দশকের পর দশক ভারত আন্তঃসীামান্ত সন্ত্রাসবাদের শিকার হয়েছে। ভারত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, 'আমাদের দৃষ্টিতে সন্ত্রাসবাদের কোনও যৌক্তিকতা নেই। প্রেরণা যাই হোক না কেন, সন্ত্রাসবাদ কোনও সমস্যার সমাধান হতে পারে না।' রক্ত কখনও কোনও সমস্যার উত্তর হতে পারে না বলেও তিনি মনে করেন।যাঁরা সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করেন, তাঁরা আদতে নিজেদের বিপদ নিজেরাই ডেকে আনেন। কারণ যাই হোক না কেন, সন্ত্রাসবাদকে কখনও সমর্থন করা যায় না।
মোদী পুতিন বৈঠক
এর আগে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রী মোদী এসসিও সম্মেলনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। শীর্ষ সম্মেলনের মাঝে পুতিন ও মোদীর বৈঠক হয়। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রুশ রাষ্ট্রপ্রধানকে বলেছিলেন, এখন যুদ্ধের সময় নয়। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছিলেন, তিনি পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন, সেখানে তিনি গণতন্ত্র, কূটনীতিক, বৈঠকের ওপর জোর দিয়েছিলেন। যদিও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে রুশ রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের এই বৈঠক কোনওভাবেই মেনে নিতে পারেনি। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল।
" /> পাক জঙ্গিদের নিষেধাজ্ঞায় বাধা চিনের, রাষ্ট্রসংঘে তীব্র সমালোচনা জয়শঙ্করের