করোনাকে হারিয়ে বিপুল ভোটে নির্বাচন জয়, জেসিন্ডা 'ম্যাজিকে' মেতে নিউজিল্যান্ড
বিপুল ভোটে নির্বাচনে জয়লাভ করে দ্বিতীয়বারের জন্যে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন জেসিন্ডা আর্ডের্ন। কয়েক দশকের মধ্যে এই প্রথমবার নিউজিল্যান্ড পেতে চলেছে একক-দলীয় সরকার। এর নেপথ্যে রয়েছে জেসিন্ডা আর্ডের্নের ম্যাজিক। জানা গিয়েছে ৭২ শতাংশ ভোট গণনা শেষ হতে না হতেই ৪৯ দশমিক দুই শতাংশ ভোট নিশ্চিত করে জেসিন্ডার নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টি।
গণনা শেষের আগেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ
১৯৩০ সালের পর এত বিপুল হারে ভোট আর পায়নি লেবার পার্টি। ইতিমধ্যেই দেশটির পার্লামেন্টের ১২০ আসনের মধ্যে ৬৪টিতে তার দল জয়ী হওয়ার আভাস মিলেছে। এবং এর ফলে একক দল হিসাবেই সরকার গঠন করতে সক্ষম হবে জেসিন্ডার লেবার পার্টি। যা গত কয়েক দশকে নিউজিল্যান্ডে দেখা যায়নি।
জেসিন্ডার জনপ্রিয়তার ঢেউয়ে ভেসে যায় বাকি সবাই
সেপ্টেম্বরেই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল এই নির্বাচনের। তবে করোনা আবহে তা একমাস পিছিয়ে যায়। স্থানীয় সময়ে শনিবার সকাল ৯টায় শুরু হয় নির্বাচন। ভোটগ্রহণ চলে স্থানীয় সময়ে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। এরপর ভোট গণমনা শুরু হতেই জেসিন্ডার জনপ্রিয়তার ঢেউয়ে ভেসে যায় বাকি সব রাজনৈতিক দল।
অতিমারী করোনা রুখতে অতিসক্রিয় ভূমিকা পালন
অতিমারী করোনা রুখতে অতিসক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা। জুন মাসের ৯ তারিখ নিউজিল্যান্ড নিজেদের করোনামুক্ত দেশ হিসেবে ঘোষণা করে৷ কারণ, ২৯ মে-এর পর থেকে সে দেশে কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়নি৷
জেসিন্ডাতে মেতে উঠেছে নিউজিল্যান্ড
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডেন দেশকে করোনা মুক্ত করে বলেছিলেন, এই সাফল্যের পর তাঁর নাচতে ইচ্ছে করছিল৷ এবং তাঁর সেই কঠোর পরিশ্রমের ফলেই জেসিন্ডাতে মেতে উঠেছে নিউজিল্যান্ড। নির্বাচনে তাঁর এই বিপুল জয়ের নেপথ্যে করোনা কালে জেসিন্ডার পরিকল্পিত 'কাজ'কেই শ্রেয় দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাস্তব সম্মত ভাবে করোনা রোধী পরিকল্পনা
সবচেয়ে বাস্তব সম্মত যে কাজটা প্রথম সপ্তাহতেই জেসিন্ডার সরকার করে করেছিল, তা হল চারটি পর্যায়ের একটা স্বাস্থ্য সতর্কতা ব্যবস্থা৷ চার নম্বর ছিল সবচেয়ে উচ্চ পর্যায়৷ ২০ মার্চের কাছাকাছি তারা প্রথম পর্যায়ের ঘোষণা করেছিল তিন-চারদিনের মধ্যে তারা চার নম্বর স্তরে পৌঁছে যায়৷ কারণ, নিউজিল্যান্ডে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আগেভাগেই করা হয়েছিল৷ অধিকাংশ সংক্রমণই হয়েছিল বিদেশ থেকে আসা পড়ুয়া এবং ইরান ও চিন থেকে ফেরা মানুষদের মাধ্যমে৷ জেসিন্ডার এহেন পরিকল্পিত পদ্ধতিতে এগোনোর বিষয়টি মন কাড়ে গোটা বিশ্বেরই।
জেসিন্ডা আর্ডেনকে ভরসা করে নিউজিল্যান্ড
যখন প্রধানমন্ত্রী আর্ডেন দেশকে স্বাস্থ্য সতর্কতা ব্যবস্থার সর্বোচ্চ স্তরে নিয়ে গেলেন, তখন নাগরিকরা আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল। কীভাবে দেশের নাগরিকদের আস্থা অর্জন করতে হবে, এটা তার উদাহরণ হতে পারে৷ এখানকার মানুষ প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডেনকে খুবই ভরসা করেন। তাই মানুষ সরকারি সতর্কতা ব্যবস্থার সঙ্গে সহযোগিতা করেছে, প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে এবং সরকার যা করছে, তার উপর অগাধ আস্থা রেখেছে৷
এক মোড়কে বিহার-মার্কিন নির্বাচন, নীতীশকে আক্রমণ করতে ট্রাম্পকে কটাক্ষ তেজস্বীর