আন্তর্জাতিক আদালতে এই ভারতীয় বিচারপতিকে বসাতে উদ্যোগ মোদী সরকারের
ইন্টারন্যাশানাল কোর্ট অফ জাস্টিস -র জজে-র পদের জন্য ভারত বনাম ব্রিটেন ধুন্ধুমার। ভারতের পক্ষ থেকে প্রার্থী দলবীর ভান্ডারি।
স্বাধীনতা ব্রিটিশ শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধে জিতে, ১৯০ বছরের গোলামি ঘুচিয়েছিল ভারত। একবার ফের সম্মুখ সমরে এই দুই দেশ। ভারত ওব্রিটেনের এক ঐতিহাসিক যুদ্ধের সাক্ষী হতে চলেছে বিশ্ব। ইন্টারন্যাশানাল কোর্ট অফ জাস্টিসে-র বিচারপতি পদে ভারতের প্রার্থী দলবীর ভান্ডারী অন্যদিকে ব্রিটেনের প্রার্থী ক্রিস্টোফার গ্রিনউড।
ভারত নিজের প্রার্থীকে জেতানোর জন্য অলআউট খেলছে। ১২০ টি দেশের সমর্থণ রয়েছে ভারতের প্রতি। তবে চুপ করে বসে থাকার পাত্র নয় ব্রিটিশ সরকার। তারা সিকিউরিটি কাউন্সিলের ১৫ জনের একটা বাড়তি সমর্থণ রয়েছে ব্রিটেনের পক্ষে। সেটাকেই কাজে লাগিয়ে ইউএন-এ ভারতের দুই তৃতীয়াংশ সমর্থনকেও নাকচ করার খেলা খেলতে চাইছে তারা।
ইউএন ভারতের মুখপাত্র সৈয়দ আকবরউদ্দিন জানিয়েছেন এবারের নির্বাচন যেন কারোর ব্যাক্তিগত লড়াই আর নেই। তিনি আরও বলেছেন, 'এটা এখন ওয়ার্ল্ড কোর্টের নির্বাচনের ওপর দাঁড়িয়ে , দ্য ইন্টারন্যাশানল কোর্ট অফ জাস্টিস -এটা বিশ্ব কোর্ট। এটা কী সারা পৃথিবীর আবেগ,আমাদের পৃথিবীর সব মানুষের জন্য। আমাদের সারা পৃথিবীর মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার বুঝিয়ে দেয়। '
ব্রিটেনের ভয় জিএ-তে যত ভোটিং হবে তা ভান্ডারীর লিড বাড়তে সাহায্য করবে। তবে সুরক্ষা বিষয়ক ক্ষেত্রে ৯ টা আরও ভোট লাগবে ভারতীয় প্রার্থীর। এই নটা ভোট আবার রয়েছে গ্রিনউডের কাছে। ভারতের দাবি এই নটা ভোট ব্রিটেন সঠিকভাবে পায়নি।
এবারের ভোট নিয়ে যা হচ্ছে তা আইসিজি-র সাত দশকের ভোট নিয়ে কখনও হয়নি। এক যৌথ প্রেস বিবৃতিতে তাঁরা জানিয়েছেন, '১৯২১ এ- ইউএন যখন তৈরি হয়নি , তখন একবার এরকম হয়েছিল।যখন ইন্টারন্যাশানাল কোর্টের ডেপুটি জজ নির্বাচিত হয়েছিল। '
নিউ ইয়র্কের সূত্র উদ্ধৃত করে এজেন্সি জানিয়েছে, একটা নোংরা রাজনৈতিক খেলা চলছে যাতে ভান্ডারীর জয় আটকানো যায়। এর আগে আইসিজে-র জজ নির্বাচিত হত যাঁরা ইউএন গরিষ্ঠ সমর্থণ পেতেন।