ট্রাম্পের পর এবার ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা কুড়োলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের জেরে মৃত্যুমিছিল দুনিয়া জুড়ে। বিশ্বে এখনও পর্যন্ত ৯৫ হাজার জন মারা গিয়েছে। ভারতও রেহাই পায়নি করোনার গ্রাস থেকে। করোনা প্রকোপ থেকে বাঁচার কোনও ওষুধ বা প্রতিষেধকই বাজারে আসেনি এখনও। বেশ কয়েকটি দেশ করোনার ওষুধ আবিষ্কার করার দাবি জানালেও তা এখনও পরীক্ষিত নয়। তাই বর্তমানে সবারই ভরসা হাইড্রোক্সিক্লোরোক্যুইন।
হাইড্রোক্সিক্লোরোক্যুইনের বিশাল চাহিদা
এদিকে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে অনেকটা কার্যকরী হচ্ছে ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক ড্রাগ হাইড্রোক্সিক্লোরোক্যুইন। তাই ভারতের পাশাপাশি গোটা বিশ্বেই এর চাহিদা বেড়ে গিয়েছে ওই ওষুধ। করোনা থেকে মুক্তি পেতে ওষুধটি হাতে পেতে। এরই মধ্যে ভারত আন্তর্জাতিক বিশ্বের সংহতি ও সহযোগিতা বজায় রাখতে ভারত ওষুধ রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। আগেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে হাইড্রোক্সিক্লোরোক্যুইন সরবরাহ করেছিল ভারত। এবার করোনা আক্রান্ত ইজরায়েলেরও পাশে দাঁড়াল দেশ।
মোদীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন নেতানিয়াহু
এর আগে গত ৩ এপ্রিল নেতানিয়াহু এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন। এরপরই ভারতের তরফে হাইড্রোক্সিক্লোরোক্যুইন পাঠানো হল ইজরায়েলে। এই সহায়তার জন্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে নিজের একটি ছবিও টুইট করেন তিনি।
টুইট বার্তায় কী বললেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী?
টুইট বার্তায় ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী লেখেন, 'ইজরায়েলে হাইড্রোক্সিক্লোরোক্যুইন পাঠানোর জন্যে আমার প্রিয় বন্ধু এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানাই। ইজরায়েলের সমস্ত নাগরিকের পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ।'
পাল্টা টুইট করেছেন মোদীও
পাল্টা টুইট করেছেন মোদীও। টুইটারে তিনি লেখেন, 'আমাদের এক হয়ে এই মহামারির মোকাবিলা করতে হবে। বন্ধুদের সমস্ত রকমের মদত দিতে প্রস্তুত ভারত। ইজরায়েলের জনতা সুস্থ ও ভাল থাকুক, আমি এটাই কামনা করি।'
হাইড্রোক্সিক্লোরোক্যুইনের বৃহত্তম উৎপাদক দেশ ভারত
প্রসঙ্গত, গোটা বিশ্বের মধ্যে 'হাইড্রোক্সিক্লোরোক্যুইন' ড্রাগটির বৃহত্তম উৎপাদক দেশ হল ভারত। ইতিমধ্যে আমেরিকাতেও ওই ড্রাগ সরবরাহ করা হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই সহায়তার জন্যে ভারত ও প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেছিলেন যে আমেরিকা এই সহায়তা কখনই ভুলতে পারবে না।