ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন সংঘাতের মাঝে রাষ্ট্রসংঘে মার্কিনি কূটনীতি জারি
ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন সংঘাতের মাঝে রাষ্ট্রসংঘে মার্কিনি কূটনীতি জারি
ইজরায়েল ও প্যালেস্টাইনের মধ্যে সংঘাতের জেরে রীতিমতো তপ্ত বিশ্ব রাজনীতি। গত সোমবার থেকে ইজরায়েলের বুকে রাতের আকাশে প্রায় ৩ হাজারের বেশি রকেট হামলা চালায় হামাস। পাল্টা জবাবে গাজার বুকে একের পর ইমারত ধূলিস্যাৎ করে ইজরায়েল। গুঁড়িয়ে যায় বহু সুড়ঙ্গ। এমন অবস্থায়, রাষ্ট্রসংঘের বুকে কূটনৈতিক চালে আমেরিকা বুঝিয়ে দিয়েছে, চিরকালের মতো তাদের পাল্লা কোন দিকে ভারী!
ক্ষত বিক্ষত গাজা
প্রসঙ্গত, ইজরায়েল সাফ জানিয়েছে হামাসকে জবাব দেওয়ার পালা শেষ হয়নি তাদের। শক্তিধর রাষ্ট্র ইজরায়েলের এই বক্তব্যের আগে ও পরে আমেরিকা থেকে সেদেশের রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন পর পর ২ বার ফোন করেন ইজরায়েলের রাষ্ট্রনেতা বেঞ্জামিন নেতানইয়াহুকে। সাফ বার্তায় আমেরিকা যুদ্ধবিরতির ডাক দেয়।
রাষ্ট্রসংঘের বুকে মার্কিনি কূটনীতি
এদিকে, হামাসকে টার্গেট করে ইজরায়েলের সামরিক পেশিশক্তির আস্ফালনকে গোটা বিশ্বের সমালোচনার মুখোমুখি পড়তে হয়েছে । বিষয়টি নিয়ে বিব্রত রাষ্ট্রসংঘ। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষেদের তরফে এই নিয়ে একটি বৈঠক ডাকা হয়। সেখানে রেজোলিউশন পাশ করে ইজরায়েলের বিরোধ করার কথা আলোচিত হয়েছে। তবে জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহে সেই রেজোলিউশন 'ব্লক' করে দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
ইজরায়েল-হামাসের বক্তব্য
ইজরায়েল আগেই জানিয়েছে, গত সোমবার হামাসের তরফে যে হামলা হয়েছে, তার জবাবি হামলা হিসাবে দেশের সামরিক শক্তির প্রয়োগ তারা করেছে। এদিকে, হামাসের দাবি, যেভাবে পূর্ব জেরুজালেম থেকে প্যালেস্তিনিয়দের সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তার জবাবে এই হামলা তারা ইজরায়েলের ওপর করেছে।
তুঙ্গে কূটনীতি
ইজরায়েল বনাম প্যালেস্টাইনের এই সংঘাতে, বাইডেন প্রশাসন অবশ্য বারবার জানিয়েছে, ইজরায়েলের পাল্টা জবাবের অধিকারকে তারা সমর্থন করে। এদিকে, বাইডেন প্রশাসনের এমন স্টান্সকে রীতিমতো সমালোচনার মুখে ফেলেছে তাঁরই পার্টির সদস্যরা। অনেকেই বলছেন ইজরায়েলের স্ট্রাইককে 'হোয়াইট ওয়াশ' করছেন বাইডেনরা।