সারোগেসির মাধ্যমে সন্তানের জন্ম দেবেন সমকামীরা, কার্যকর আইন
সারোগেসির মাধ্যমে সন্তানের জন্ম দেবেন সমকামীরা, কার্যকর আইন
জেরুজালেম : সমকামীরাও এবার সারোগেসির মাধ্যমে সন্তানের জন্ম দিতে পারবেন। এমনই যুগান্তকারী রায় দিয়েছে ইজরায়েলের সুপ্রিম কোর্ট।গত বুধবার থেকে যা কার্যকর হয়েছে সেই দেশে
মাস ছয়েক আগে সারোগেসির মাধ্যমে সমকামীরা কোনও সন্তানের জন্ম দিতে পারবেন কি না সেই সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল ইজরায়েলের আদালত। এই যুগান্তকারী রায় কার্যকর করতে ছয় মাস সময় চাওয়া হয়েছিল। অবশেষে বুধবার থেকে তা কার্যকর হয়েছে।
আগে বিশ্বের বিশ্বের অন্যান্য দেশে মতো ইজরায়েলেও শুধুমাত্র স্বামী-স্ত্রী'র যৌথ ইচ্ছায় সারোগেসি করা যেত। সিঙ্গল মাদার যারা তাঁরাও সারোগেসি করতে পারতেন। কিন্তু সমকামী, ট্রান্সজেন্ডাররা এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত ছিলেন। নতুন রায়ে সকলেই চাইলে সারোগেসির মাধ্যমে বাচ্চা নিতে পারবেন।
দীর্ঘদিন ধরেই ইজরায়েলে LGBTQ কমিউনিটি বেশ শক্তিশালী। তাদের অধিকারের জন্য বহু আন্দোলন করেছে। বলা যেতে পারে মধ্য প্রাচ্যে LGBTQ অধিকারের দিক থেকে ইজরায়েলই সবচেয়ে এগিয়ে। এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের নতুন রায়ে খুশি দেশের LGBTQ কমিউনিটি। তাঁরা জানাচ্ছেন , দীর্ঘদিন ধরেই এই অধিকারের জন্য লড়াই চলছিল। শেষপর্যন্ত তা আইনসিদ্ধ হয়েছে। তাই তারা খুশি।
এর আগে ফ্রান্সে সমকামী এবং একক নারীদের জন্য সন্তান নেওয়ার অধিকার বৈধ করা হয়েছিল। তবে সারোগেসির কথা সেখানে উল্লেখ করা ছিল না। ইজরায়েলে সরাসরি সারোগেসির কথাই উল্লেখ করা হয়েছে।
সারোগেসি বিষয়টি কী?
একজনের নারীর গর্ভে অন্য দম্পতির সন্তান ধারনের পদ্ধতিকে সারোগেসি বলে। সারোগেসির এই পদ্ধতি বেশ দীর্ঘকালীন। আইভিএফ পদ্ধতিতে স্ত্রী ও পুরুষের ডিম্বাণু ও শুক্রাণু দেহের বাইরে নিষিক্ত করে তা নারীর গর্ভাশয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়।
কেন সারোগেসির প্রয়োজন হয়?
অনেক চেষ্টার পরও যখন সন্তান লাভের আর কোন পথ থাকে না তখন সারোগেসিই হয় অন্যতম উপায়।
সারোগেসি দুই রকমের হয় -
১.
পার্শিয়াল
সারোগেসি-
অনেকদিন
থেকে
এটি
চলছে।
সন্তানধারণে
এখানে
কোনও
ভূমিকাই
পালন
করেন
না
মা।
বাবার
শুক্রাণু
আর
সারোগেট
মায়ের
ডিম্বাণু
থেকে
শিশুর
জন্ম
হয়।
২.
ট্রু-সারোগেসি/জেস্টেশনাল/আইভিএফ
সারোগেসি-
মায়ের
ডিম্বাণু
নিয়ে
ল্যাবে
ভ্রূণ
তৈরি
করা
হয়।
এরপর
সারোগেট
মায়ের
জরায়ুতে
প্রতিস্থাপন
করা
হয়
ভ্রূণটি।
এটিই
এখন
প্রচলিত
পদ্ধতি।