
চার বছরে পাঁচবার ভোট! বাইডেনকে স্বাগত জানাবেন 'সঞ্চালক' প্রধানমন্ত্রী
ভেঙে দেওয়া হল ইজরায়েলের (Israel parliament dissolved) সংসদ! বৃহস্পতিবার (Israel) বড়সড় এহেন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আর এহেন সিদ্ধান্তের পরেই নতুন করে ফের একবার ভোটের ময়দানে হাঁটতে চলেছে সে দেশ। তবে তথ্য বলছে, গত চার বছরে অন্তত পাঁচবার ভোটের ময়দানে হেঁটেছে ইজরায়েল।

ফের একবার ভোট হতে চলেছে সে দেশে। ইতিমধ্যে সংসদের তরফে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে বলেই জানা যাচ্ছে।
এই অবস্থায় ইজরায়েলের কার্যবাহী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে কাজ করবেন ইয়ার ল্যাপিড। শুক্রবার মধ্যরাত থেকেই সে দেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী হিসাবে কাজ করবেন তিনি। এমনটাই জানা যাচ্ছে। ল্যাপিড ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রী হিসাবে দীর্ঘদিন তাঁর দায়িত্ব সামলেছেন। একাধিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, ইয়ার ল্যাপিড ১৪তম ব্যক্তি যিনি ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী পদে বসতে চলেছেন। একেবারে সব্লপ সময়ের প্রধানমন্ত্রী থাকলেন নাফতালি বেনেট। তাঁর হাত থেকেই দায়িত্বভাবে ল্যাপিড বুঝে নিচ্ছেন বলে জানা যাচ্ছে।
১২ বছর ধরে শাসন করার পর সরে যেতে হয় বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে। অনেকেই বলে ইতিহাস নাকি তাঁর শাসনকাল। কার্যত এক ঐতিহাসিক ঘটনা হিসাবেই চিহ্নিত হয়েছিল সে সরকারের পতন। জোট শক্তির চাপেই ক্ষমতা থেকে সরতে হয় বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে। সেই ঘটনায় এক বছরের মাথায় প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে হয় বেনেটকে।
আগামী ১ নভেম্বর নতুন করে ইজরায়েলে ভোটের দিন নির্ধারিত করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে সবুজ সঙ্কেত পাওয়া গিয়েছে বলেই খবর।
মোট আটটি দল একজোট হয়ে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সরকারকে টলাতে পারে। সেই অভিনব রাজনীতির ইতি বোধহয় এখানেই। অন্যদিকে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু'র বিরুদ্ধে চলছে দুর্নীতির মামলা। তাঁর বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়া প্রতারণার মতো অভিযোগ রয়েছে বলেই খবর। যদিও এহেন সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এবার যিনি অস্থায়ী ভাবে প্রধানমন্ত্রী'র পদে বসতে চলেছেন তিনি একসময় টক শো সঞ্চালনা করতেন। তাঁকেই আপাতত বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু'র বিকল্প হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে।
আগামী সপ্তাহেই ইজরায়েলে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তাঁকে স্বাগত জানাবেন ল্যাপিড। এমনটাই জানা যাচ্ছে। তবে তাঁর সফরের আগে যেভাবে সংসদ ভেঙে দেওয়া হল তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে নাফতালি বেনেট বুধবারই জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নিচ্ছেন। এমনকি আসন্ন নির্বাচনেও অংশ নিচ্ছেন না বলেও জানিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। এই অবস্থায় সে দেশের রাজনীতি কোনদিকে এগোয় সেদিকেই নজর।