ইজরায়েল-হামাস রণাঙ্গনে অবশেষে শান্তি! বাইডেনের প্রশস্তিবাক্যে মার্কিনি কূটনীতির ইঙ্গিত
যে রণাঙ্গনে এককালে অস্ত্র বর্ষণ হয়েছে একে অপরের দিকে তাক করে,সেই যুদ্ধময়দানে এবার শান্তি বর্ষণের পালা। ১১ দিন টানা লড়াইয়ের মাঝে ২০০ প্রাণ তছনছ হয়ে যাওয়ার পর অবশেষে যুদ্ধবিরতির বার্তা হামাস ও ইজরায়েলের। এদিকে এই ঘোষণার পর থেকেই প্যালেস্টাইনের রাস্তায় বিজয়োৎসবে উচ্ছ্বসিত জনতার ভিড় দেখা যায়।
'শেষ দেখে ছাড়ব' থেকে শান্তি চুক্তি
গত সোমবার হামাসের তরফে ইজরায়েলের বুকে এসে পড়ে মুহুর্মুহু রকেট। যা রুখতে উন্নত আয়রন ডোম নিয়ে আঘাত সামাল দেয় ইজরায়েল। এরপর প্রত্যাঘাতে নারকীয় সংহারে নামে বেঞ্জামিন নেতানইয়াদুর দেশ। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতান ইয়াহু জানিয়ে দেন 'এর শেষ দেখে ছাড়ব'। হামাসের তাবড় নেতার বাসভবন রকেট হানায় গুঁড়িয়ে দেয় ইজরায়েল। ভেঙে দেয় পর পর সুড়ঙ্গ। গত ১১ দিনে ইজরায়েলের এয়ারস্ট্রাইকের সমালোচনার মধ্যেই, প্যালেস্টাইনের তরফে ইজরায়েলের বুকে ৪৩০০ টিরও বেশি রকেট হানা হয়েছে।
সংঘর্ষবিরতি অবশেষে
এদিকে, গোটা বিশ্ব জুড়ে এই যুদ্ধের সমালোচনা শুরু হয়। রাষ্ট্রসংঘে এই নিয়ে রেজোলিউশনের রাস্তা খোলা হলেও, তাতে বাধ সাধে আমেরিকা। ভারত জানিয়ে দেয়, ইজরায়েলের বুকে হামলা নিন্দনীয়। অন্যদিকে পাকিস্তান প্যালেস্তাইনের পাশে থাকে। এমবতাবস্থায় বারবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুদ্ধবিরতির পক্ষে সওয়াল করেন। এরপরই আসে শান্তি চুক্তি। মিশরও একই ডাক দেয়। এরপরই দুই দেশের মধ্যস্থতার আসে বহু প্রতীক্ষিত শান্তি।
প্যালেস্টাইনে উৎসব!
এই যুদ্ধবিরতি প্যালেস্টাইনের কাছে উৎসব বলে বিবেচিত হয়েছে। এদিন গাজায় এক মসজিদ থেকে ঘোষণা করা হয় যে , ইজরায়েলের বিরুদ্ধে বহু কাঙ্খিত জয় পাওয়া গিয়েছে। মূলত, এই সংঘর্ষবিরতিকে তারা নিজেদের জয় বলে মনে করছে।
মিশরের বার্তা
এদিকে, মিশরের তরফে এই সংঘর্ষ বিরতির প্রশংসা করা হয়েছে। এদিকে, হামাস ও ইজরায়েল সাফ জানিয়েছে , কোনও পক্ষই যদি শান্তি বিঘ্নিত করে তাহলে তার পাল্টা জবাব দিতে দুই দিকই তৈরি। এমন পরিস্থিতিতে মিশর দাবি করেছে যে তারা সংঘর্ষবিরতিতে নজর রাখতে একটি প্রতিনিধি দল পাঠাবে এলাকায়।
মার্কিনি কূটনীতি
এদিকে, বাইডেনের ফোনের বার্তা 'এক্ষুণি বন্ধ করতে হবে যুদ্ধ' -এর পর ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে সংঘাত স্তব্ধ হওয়ার ঘটনা রীতিমতো তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে বিশ্বরাজনৈতিকমহল। বাইডেন নিজের বার্তায় জানিয়েছেন,' আমি বিশ্বাস করি,প্যালেস্তিনীয় ও ইজরায়েলের বাসিন্দারা নিরাপদে বসবাসের অধিকারী। একই পরিমাণ স্বাভীনতা, সমৃদ্ধি ও গণতন্ত্রের অধিকারী দুই দেশই। ' এরপরই তিনি সাফ জানান, বাইডেন প্রশাসন এই বিষয়ে নিজেদের কূটনীতি জারি রাখবে।