কুলভূষণ যাদব মামলায় ইসলামাবাদ হাইকোর্টের চাঞ্চল্যকর নির্দেশ, বড় জয় ভারতের!
আন্তর্জাতিক আদালতে আগেই কুলভূষণ মামলায় বড় জয় পেয়েছিল ভারত। তবে সেই জয়ের পরও পাক সরকার রায় এবং ভারতের দাবি মেনে নেয়নি। এবং ভারত কোনও আইনি পরামর্শও দিতে পারছিল না কুলভূষণ যাদবকে। তবে এবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টও নির্দেশ দিল যে কুলভূষণ মামলায় ভারতীয় পক্ষে একজন আইনজীবী নিয়োগের অনুমতি দেওয়া হোক।

ভারতের কাছে আরও বড় নৈতিক জয়
এর আগে আইসিজে-র রায়ের ফলে কুলভূষণের ফাঁসি আটকানো সম্ভব হলেও পাকিস্তানের সরকারের একগুঁয়ে মনোভাবের জেরে ভআরত সেভাবে কুলভূষণকে সাহায্য করতে পারছিল না। এমন কী কুলভূষণের সঙ্গে দেখা পর্যন্ত করা যাচ্ছিল না। এই আবহে এবার কুলভূষণ মামলায় ইসলামাবাদ হাইকোর্টে এহেন রায় নিঃসন্দেহে ভারতের কাছে আরও বড় নৈতিক জয়।

কুলভূষণের আইনজীবীকে একজন পাকিস্তানি হতে হবে
এদিন ইসলামাবাদে এই মামলার শুনানি চলাকালীন হাইকোর্টের তরফে জানানো হয় যে কুলভূষণ মামলাটি আগামী ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মুলতুব করা হল। এবং সেই সময় পর্যন্ত ভারতকে একজন আইনজীবী নিয়োগের সুযোগ দেওয়া উচিত। যদিএ সেই আইনজীবীকে পাকিস্তানি হতে হবে বলে সাফ জনিয়ে দেওয়া হয় ইসলামাবাদ হাইকোর্টের তরফ থেকে।

পাকিস্তানের উপর ভারতের চাপ
এর আগে ভারতের চাপে পড়ে দ্বিতীয়বারের জন্য কুলভূষণ যাদবকে কনসুলার অ্যাকসেস দিলেও তা ফলপ্রসু হয়নি। এরপর পাক নজরদারিতে এই নামকা ওয়াস্তে অ্যাকসেস নিয়ে সরব হয় দিল্লি। ভারত জানিয়েছে, কুলভূষণ দৃশ্যত চাপে, অবাধে কথা বলতে পারেননি দূতাবাসকর্মীরা, কারণ পুরো আলোচনা রেকর্ড করে রাখা হয়েছে পাকিস্তানের তরফে। এরপরই পাকিস্তানে ফের কনসুলার অ্যকসেস দিতে রাজি হয়।

পাকিস্তানের আইন অমান্য অব্যহত
পাকিস্তান কীভাবে এরম করে ভারতকে বারবার আইন বহির্ভূত ভাবে কুলভূষণ মামলায় অপদস্থ করারর চেষ্টা করেছে। জানা গিয়েছে এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক আদালত জানিয়েছে যে কুলভূষণ মামলায় তাদের রায় ফাইনাল, এবং পাকিস্তানকে তা মেনেই চলতে হবে। তা সত্ত্বেও ইসলামাবাদ যা করে চলেছে তা এক প্রকার আদালত অবমাননা। তবে তাতে ইমরানের কিছু যায় আসে বলে মনে হয় না।

কুলভূষণের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ
গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ এনে ভারতীয় নাগরিক কুলভূষণ যাদবকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়েছিল পাকিস্তানের সেনা আদালত। পাকিস্তান গত সপ্তাহে দাবি করে, সাজার রায়ের পনর্বিবেচনার আর্জি জানাতে চাননি কুলভূষণ যাদব, বরং প্রাণভিক্ষার আর্জি জানাতেই চান তিনি। পাকিস্তানের দাবি খারিজ করে ভারত বলে, এতেই প্রমাণ হয়, আন্তর্জাতিক আদালতের রায় কার্যকর করতে চায় না পাকিস্তান। এরপরই ইসলামাবাদের উপর পাল্টা চাপ তৈরি শুরু করে ভারত।

২০১৬ সালে গ্রফতার হয়েছিলেন কুলভূষণ
কুলভূষণ যাদব একজন প্রাক্তন নৌসেনা আধিকারিক৷ ২০১৬ সালে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে পাকিস্তানে গ্রেফতার হন তিনি ৷ এর এক বছর পর পাকিস্তানের মিলিটারি কোর্টে তাঁকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়৷ এরপর ২০১৭ সালে কুলভূষণের মামলা নিয়ে ভারত আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বারস্থ হয়৷ গত বছরের জুলাইতে আন্তর্জাতিক আদালতের থেকে বলা হয়েছিল, পাকিস্তানকে কুলভূষণ যাদবের মৃত্যুদণ্ডের রায় অবশ্যই পুনর্বিবেচনা করতে হবে৷ ততদিন পর্যন্ত মৃত্যুদণ্ড স্থগিত রাখতে হবে৷ পাশাপাশি মামলায় ভারতীয় আইনজীবীর প্রতিনিধিত্ব না থাকতে দেওয়া নিয়েও ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছিল আন্তর্জাতিক আদালত৷ ভারতের তরফে বারবার বলা হচ্ছিল, ভারতীয় আইনজীবীর প্রতিনিধিত্ব না থাকাটা ভিয়েনা সম্মেলনের চুক্তিবিরুদ্ধ৷ আন্তর্জাতিক আদালত কার্যত দিল্লির এই দাবিতেই সিলমোহর দিয়েছিল৷
পাকিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধানের! রাফাল-এস ৪০০ মিসাইল নিয়ে প্রতিবেশীকে বার্তা
