ভারতের জেলেই বন্দি ছিল কাবুল বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের ঘটনাতে জড়িত মূল জঙ্গি! চাঞ্চল্যকর দাবি ISIS-K
গত কয়েকদিন আগে দফায় দফায় কেঁপে ওঠে কাবুল এয়ারপোর্ট। প্রবল এই বিস্ফোরণে অহু আফগান মানুষের মৃত্যু হয়। মৃত্যু হয়ে বেশ কয়েকজন শিশুরও। এমনকি বিস্ফোরণের ঘটনাতে বেশ কয়েকজন মার্কিন সেনারও মৃত্যু হয়। গত কয়েকবছরে আফগানিস্তানে মার্
গত কয়েকদিন আগে দফায় দফায় কেঁপে ওঠে কাবুল এয়ারপোর্ট। প্রবল এই বিস্ফোরণে অহু আফগান মানুষের মৃত্যু হয়। মৃত্যু হয়ে বেশ কয়েকজন শিশুরও। এমনকি বিস্ফোরণের ঘটনাতে বেশ কয়েকজন মার্কিন সেনারও মৃত্যু হয়। গত কয়েকবছরে আফগানিস্তানে মার্কিন সেনার উপর সবথেকে বড় হামলা ছিল সেটি।
আর এই ঘটনায় চরম ক্ষুব্ধ হয় আমেরিকা। যদিও এই ঘটনার পরেই তালিবারা জানায়, এই ঘটনার পিছনে রয়েছে ইসলামিক স্টেট-খোরাসান (ISIS-K)। গত কয়েক বছরে ধীরে ধীরে এই জঙ্গি সংগঠন আফগানিস্তানের মাটিতে নিজেদের মাটি শক্ত করে। তারাই এই হামলার ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বলে জানায় তালিব প্রশাসন।
এমনকি পরবর্তীকালে এই সংগঠনের তরফেও হামলার দায় স্বীকার করা হয়। তবে এই ঘটনার মধ্যেই সামনে আসছে চাঞ্চল্যকর এক তথ্য। কার্যত যা শিউড়ে ওঠার মতো।
ISIS-K এর তরফে সম্প্রতি উস্কানিমূলক একটি বই প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে চাঞ্চল্যকর একটি দাবি করা হয়েছে। বইতে বলা হয়েছে যে, কাবুল হামলার সঙ্গে জড়িত জঙ্গি গত পাঁচ বছর আগে ভারতের মাটিতে ধরা পড়ে। ভারতের মাটিতে নাশকতা চালাতে গিয়ে ধরা পড়ে যায় সে। আর এরপরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
যদিও পরবর্তীকালে বন্দিদশা কাটিয়ে সে আফগানিস্তানে চলে আসে। আর এরপর থেকে সে আফগানিস্তানের মাটিতে ইসলামিক স্টেটের মাটি শক্ত করতে চালিয়ে গিয়েছে।
উল্লেখ্য, গোটা দেশ যখন তালিবানদের দখলে চলে যায় সেই সময়ে কাবুল এয়ারপোর্টের রাশ ছিল মার্কিন বাহিনীর হাতে। গোটা এয়ারপোর্ট গিয়রে রেখেছিল তাঁরা। আর সেই মার্কিন বাহিনীকেই মূলত টার্গেট করে ISIS-K। প্রবল বিস্ফোরণের ঘটনাতে ১৮০ জনেরও বেশী মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যু হয় ১৩ মার্কিন সেনা।
এই ঘটনার পর বিস্ফোরণের দায় ISIS-K নিলেও কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছিল সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি। তবে প্রকাশিত ওই বইতে ISIS-K দাবি করেছে, আত্মঘাতী ওই জঙ্গির নাম আব্দুর রহমান আল লোগরি।
ভারতের মাটিতে লোগরির ISIS-K জঙ্গি সংগঠনের হয়ে কাজ করতে আসে। শুধু তাই নয়, ইসলামিক স্টেট-খোরাসান দাবি করেছে যে, কাশ্মীরের প্রতিশোধ নিতেই ভারতে এসেছিল রহমান আল লোগরি। বছর পাঁচেক আগে সেই সময় ধরা পড়ে যায় সে। যদিও পরবর্তীকালে ছাড়া পাওয়ার পর চলে যায় আফগানিস্তানে।
উল্লেখ্য, ভারতের মাটিতে বসে ISIS-K জঙ্গি সংগঠনের হয়ে কাজ করছে এমন অভিযোগে ব্যাপক তল্লাশি চালায় দিল্লি পুলিশ। সেই সময়ে এক দম্পত্তিকে গ্রেফতার করেন দিল্লি পুলিশের আধিকারিকরা। গ্রেফতার করা হয় জাহানাজিব সামি ও তার স্ত্রী হিন্দা বসির বেগকে।
ISIS-K হয়ে তাঁরা কাজ করছে এমন লিঙ্ক সামনে আসার পরেই গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। যদিও পরে এনআইএ সেই অভিযোগের তদন্তভার নেয়। শুধু তাই নয়, আরও বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। সেই সময়ে ধরা পড়ে যায় রহমান আল লোগরি।