এই হামলা প্রতিশোধমূলক, লন্ডন ব্রিজ নিয়ে দায় স্বীকার করে বলল আইএসআইএস!
ব্রিটেনের লন্ডনে ব্রিজে হামলা চালানোর দায় স্বীকার করল জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসআইএস। শনিবার একটি সংবাদ সংস্থার কাছে আইএস দাবি করে, তাদের এক সদস্য ওই হামলা চালিয়েছে। আইএসের পক্ষ থেকে বলা হয়, তাদের বিরুদ্ধে সামরিক জোট হিসেবে যুদ্ধ করায় যুক্তরাজ্যের উপর প্রতিশোধমূলক এই হামলা চালিয়েছে তারা। তবে শুক্রবারে লন্ডন ব্রিজে তাদের সদস্যই যে হামলা চালিয়েছে তার প্রমাণ দেখাতে পারেনি আইএস।
হামলায় প্রাণ হারান দুই
শুক্রবার দুপুরে মধ্য লন্ডনে এক জঙ্গি হামলায় অন্তত দুইজন নিহত এবং আরও বেশ কয়েক জন জখম হয়েছেন। লন্ডন ব্রিজের উত্তরের অংশে একটি হলে চলতে থাকা এক অনুষ্ঠানে হামলার সূত্রপাত হয়। ছুরি নিয়ে কয়েক জন ব্যক্তির উপর হামলার পর কিছুক্ষণের মধ্যেই জনগণের সহায়তায় এবং পুলিশের গুলিতে সন্দেহভাজন হামলাকারী নিহত হন।
হামলাকারী পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত
ব্রিটেনের পুলিশ ইতিমধ্যে ওই হামলাকারীর পরিচয় প্রকাশ করেছে। পুলিশ বলছে, লন্ডন ব্রিজে হামলাকারী ওই ব্যক্তির নাম ওসমান খান (২৮)। তিনি পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। এছাড়া পুলিশ জানায়, ওই হামলাকারী ২০১২ সালে সন্ত্রাসের দায়ে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল। জনসুরক্ষার জন্য তাকে অন্ততপক্ষে আট বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল।
আগেও জেলে ছিল হামলাকারী ওসমান
গত বছর ইলেকট্রনিক ট্যাগ শরীরের লাগিয়ে রাখার শর্তে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। এতে তাঁর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ ছিল। খানের আবাসস্থল স্ট্যাফোর্ডশায়ারে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। নেইল বাসু বলেন, তদন্ত এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে। এই হামলায় আর কেউ জড়িত কি না, দেখা হচ্ছে। তবে জনসাধারণের জন্য আর কোনও ঝুঁকি নেই।
জনগণকে ধন্যবাদ বরিস জনসনের
শুক্রবারের ঘটনায় হামলাকারীকে রুখে দেওয়া মানুষের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিনসহ অনেকে। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এক টুইট বার্তায় বলেন, ঘটনা সম্পর্কে তিনি অবগত। ঘটনার পর পুলিশ ও জরুরি সেবায় কর্মরত ব্যক্তিরা চট জল্দি পদক্ষেপ নেওয়ায় তাঁদের ধন্যবাদ জানান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি বরিস জনসন আরও বলেন, সন্ত্রাসীদের পূর্ণ সাজা খাটতে হবে। মারাত্মক ও সহিংস অপরাধীদের ক্ষেত্রে দ্রুত মুক্তির বিষয়টি ভুল সিদ্ধান্ত। সন্ত্রাসী ও মারাত্মক অপরাধীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি।