For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

যুদ্ধাপরাধ: পাকিস্তানী সেনাদের বিচার আসলেই সম্ভব?

মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগে মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ নামে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সাবেক একজন সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

  • By Bbc Bengali

বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ, পাকিস্তান
BBC
বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ, পাকিস্তান

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগে মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ নামে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সাবেক একজন সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সাবেক কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে, এই প্রথম তদন্ত হলো। যদিও তিনি একজন বাঙালী সৈনিক।

তদন্ত সংস্থা বলছে, ৭১ সালের যুদ্ধের পর পাকিস্তান যে ১৯৫ জন সেনা সদস্যকে ফেরত নিয়ে গেছে, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত নিয়ে সরকার এখনও কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি।

যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে পাকিস্তানি সেনাদের বিচারে আন্তর্জাতিক আইনে কতটা সুযোগ রয়েছে?

এমন প্রশ্নের জবাবে আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞ আহমেদ জিয়াউদ্দিন বিবিসিকে বলেন, "ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্ট, যার অধীনে ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সে অনুযায়ী যে কোন সেনা সদস্য থেকে শুরু করে যে কারও বিচার হতে পারে, যদি সে মানবতা বিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত হয় বা তার বিরুদ্ধে তদন্তে কিছু পাওয়া গেলে"।

তিনি বলেন, "তার জাতীয়তা যাই হোক না কেন, তিনি যে দেশেরই নাগরিক হোক না কেন, সেনা সদস্য হোন বা না হোন-- বিচার করা যাবে"।

বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ, পাকিস্তান
focus bangla
বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ, পাকিস্তান

কিন্তু বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পর পাকিস্তানী সেনাদের বিষয়ে যে সমঝোতা হয়েছিলো তারপরে এখন তাদের বিচার বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে কতটা সম্ভব ?

মিস্টার জিয়াউদ্দিন বলেন, "অপরাধ কখনো মীমাংসা করে সমাধান করা যায়না । পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে এক ধরনের সমঝোতা হয়েছে এবং তার ভিত্তিতে আটকেপড়া ও যুদ্ধবন্দী পাকিস্তানী সেনারা ফিরে গেছে। কিন্তু আইনের দৃষ্টিতে ততক্ষণ পর্যন্ত একজন দায়মুক্ত হয়না, যদি না সে বিচার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বের হয়ে আসে"

আর সে কারণে ই ৯৫ হাজার হোক আর ১৯৫ হোক পাকিস্তানী সেনা যার বিরুদ্ধে অপরাধের প্রমাণ পাওয়া যাবে বাংলাদেশের আইনে তার বিচার করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।

কিন্তু এত বছর পর অন্য দেশের সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রমাণ সংগ্রহ করা, কিংবা বিচারের জন্য আইনি কাঠামো তৈরি করার পরিস্থিতি কি বাংলাদেশের রয়েছে ?

এমন প্রশ্নের জবাবে আহমেদ জিয়াউদ্দিন বলেন বাংলাদেশের আইনি কাঠামো আছে কিন্তু বাস্তবতা হয়তো বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবে।

তিনি বলেন,"পাকিস্তানী সেনাদের বিচার করার বিষয়ে মনে হচ্ছে ট্রাইব্যুনাল ধাপে ধাপে এগুচ্ছে। প্রথমে স্থানীয় সহযোগীদের বিচার হচ্ছে। এরপর প্রথম পাকিস্তানী সেনা সদস্য যিনি বাঙ্গালি তার বিচার শুরু হচ্ছে। এটা দ্বিতীয় ধাপ। তবে এটি সেনাসদস্যদের বিচারের প্রথম ধাপ এবং এটি শুরু হলো বাঙ্গালি একজনকে দিয়ে যিনি পাকিস্তানী সেনাসদস্য ছিলেন"।

আরও পড়ুন : যুদ্ধাপরাধের দায়ে বিচারের মুখোমুখি বাঙালি সৈনিক

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখনো মুক্তিযুদ্ধ কেন বড় ফ্যাক্টর?

"এরপর হবে সত্যি সত্যি বিদেশী অর্থাৎ পাকিস্তানী সেনা। সেটা বাস্তবে কতটুকু হবে তা পরের কথা। কিন্তু বাংলাদেশের আইনের কোন সমস্যা নেই"।

কিন্তু পাকিস্তান তাতে কি ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে ?

জবাবে মিস্টার জিয়াউদ্দিন বলেন তারা হয়তো প্রতিবাদ করবে কিংবা সংসদে নিন্দা প্রস্তাব করবে বা চেষ্টা করবে অন্য কোথাও বক্তব্য রাখতে।

"বাংলাদেশী নাগরিকদের ক্ষেত্রেই তারা এমনটা করেছে। তাই এখন সেনাসদস্যদের বিষয়ে তো করবেই। হয়তো একটু জোরদার হবে। কিন্তু আমাদের আইন যথেষ্ট পরিষ্কার"।

English summary
Is this possible to do justice to war criminal Pakistanis ?This question arises regarding war criminals.
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X