জি৭ বৈঠকের হাত ধরেই মসৃণ হচ্ছে চিন বিরোধিতার রাস্তা? পাল্টা ব্যঙ্গের তির ছুঁড়ল বেজিং
জি৭ বৈঠক নিয়ে তীব্র আক্রমণ করল বেজিং
জি৭ বৈঠক নিয়ে উত্তেজনার পারদ চড়ছিল বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই। অবশেষে এদিন আনুষ্ঠানিক ভাবে জি-৭ সামিট বৈঠকের শুরুতেই থেকেই বড় ঘোষণা করা হয়। চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের পাল্টা প্রকল্প নিয়ে এসেছে জি-৭ দেশগুলি। আর তারপরেই রণংদেহী মূর্তীতে আক্রমণ শানাতে দেখা গেল চিনকে। যা নিয়ে তোলপাড় বিশ্ব রাজনীতি।
সামিটে অংশ নিল কোন কোন দেশ ?
এদিকে জি-৭ সামিটে রয়েছে আমেরিকা, ব্রিটেন, কানাডা, জার্মানি, ইতালি, ফ্রান্স ও জাপান। পূর্বাভাস অনুযায়ী, অদূর ভবিষ্যতে মার্কিন অর্থনীতিকেও ছাপিয়ে যাবে বেজিং। এই পরিস্থিতিতে চিনের বিরুদ্ধে একযোগে জি-৭ দেশগুলির সুর চড়ানো অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা। এমতাবস্থায় চলতি জি৭ সম্মেলনের দিকে ব্যঙ্গের তির ছুঁড়ল চিন।
পাল্টা ব্যঙ্গের তীর ছুঁড়ল বেজিং
রবিবার লন্ডনে চিনা দূতাবাসের এক মুখপাত্র জানালেন, ''সেই দিন চলে গিয়েছে, যখন কয়েকটি দেশ মিলে সারা বিশ্বের হয়ে সিদ্ধান্ত নিত। আমরা বরাবরই বিশ্বাস করে এসেছি সমস্ত দেশ, তারা ছোট হোক বা বড়, শক্তিশালী হোক বা দুর্বল, সকলেই সমান। ছোট কিছু গোষ্ঠী সারা বিশ্বের সিদ্ধান্ত নেবে, সেই দিন আর নেই।" এদিকে চিনের এই বক্তব্য কার্যত হুঁশিয়ারি হিসাবে দেখছেন পশ্চিমী রাষ্ট্রনেতারা।
মোদীর বক্তব্যের পরেই কী আরও ক্ষেপে উঠল বেজিং?
অন্যদিকে এদিন দক্ষিণ-পশ্চিম ইংল্যান্ডে জি-৭ গোষ্ঠীর গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে গত ৪০ বছরে চিনের অর্থনীতি ও সামরিক শক্তির বিকাশ এবং প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের কর্তৃত্ব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারত জি৭ গোষ্ঠীর সদস্য নয়, তবুও এদিন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বিশেষ আমন্ত্রণে বক্তব্য রেখেছেন মোদি। যে কারণে চিনের রাগের পারদ আরও খানিকটা চড়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
মসৃণ হচ্ছে চিন বিরোধিতার রাস্তা ?
অন্যদিকে শনিবার এই বৈঠকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জি-৭ গোষ্ঠীর বাকি দেশগুলিকে একজোট হয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী চিনের আগ্রাসনের কড়া জবাব দেওয়ার বার্তা দিয়েছেন। এমনকী শি জিনপিংয়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের পাল্টা প্রকল্পের বিষয়েও বিশদে আলোচনা হয়। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে আপাত ভাবে এই জি৭ সম্মেলনে করোনার মোকাবিলা ও জলবায়ুর ভারসাম্য রক্ষা করার মতো বিষয়ে আলোচনা করা হলেও আগামীতে আন্তর্জাতিক স্তরে একজোট হয়ে চিন-বিরোধিতার রাস্তা মসৃণ করতে এই বৈঠক বড় ভূমিকা রাখতে পারে।