দিল্লি হিংসার ছবি প্রচার করে নাশকতার ছক জঙ্গিদের! চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট প্রকাশ
শনিবার থেকে শুরু হওয়া দিল্লি হিংসার শিকার হয়ে মৃতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। দুই পক্ষের অনেকেই জখম অবস্থায় এখনও ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। লাগাতার বেশ কয়েকদিন ধরে জ্বলার পর দিল্লিবাসীর একটাই আর্তি, শান্তি চাই! তবে বিশ্বের অন্য প্রান্তে এখন দিল্লির এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই পরবর্তী অশান্তির ছক কষছে জঙ্গিরা। এমনই তথ্য উঠে এসেছে আমেরিকা ভিত্তিক গোয়েন্দা সংস্থার একটি রিপোর্টে।
দিল্লি হিংসার একটি ছবিকে পোস্টার হিসাবে ব্যবহার করছে আইএস
জানা গিয়েছে, দিল্লি হিংসার একটি ছবিকে পোস্টার হিসাবে ব্যবহার করে আরও জঙ্গি নিজেদের দলে টানতে চাইছে আইএস গোষ্ঠী। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের এক চিত্র সাংবাদিকের তোলা ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে যে সিএএ সমর্থনকারীরা এক মুসলিম ব্যক্তিকে মারছে। সেই ছবি এখন প্রচারে ব্যবহার করছে আইএস। সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই ছবি ছড়িয়ে দিচ্ছে আইএস।
সিএএ-কে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া দিল্লির হিংসায় মৃত ৪২
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া দিল্লির হিংসায় এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৪২। জখম ৩০০-রও বেশি। তবে গত ৬০ ঘন্টার মধ্যে কোনও হিংসার ঘটনা ঘটেনি। আজ শুক্রবার জুমার নামাজের ব্যবস্থাও করা হয় দিল্লি পুলিশের তরফে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। আজ ১০ ঘণ্টার জন্য ১৪৪ ধারাও শিথিল করা হয়েছিল। তবে দিল্লির চিত্র দেখিয়ে ফের অশান্তি করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পনা শুরু করেছএ জঙ্গিরা।
দিল্লির ছবি দেখিয়ে মুসলিম যুবকদের আইএস-এ যোগের আহ্বান
জানা গিয়েছে, দিল্লির ছবি দেখিয়ে মুসলিম যুবকদের প্রতি আইএস আহ্বান জানাচ্ছে যে তারা যেন তাদের দলে যোগ দেয়। তাদের 'যুদ্ধ'-এ যোগ দিয়ে মুসলিমদের অত্যাচারের থেকে বাঁচানোর ডাক দিচ্ছে আইএস। এতে উপমহাসাগরের অনেক যুবক প্রভাবিত হচ্ছে বলেই জানা যাচ্ছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, আইএস এখন ভারত ও ভারতীয় উপমহাসাগরকে পাখির চোখ করছে।
ভারতকে পাখির চোখ করছে আইএস
এদিকে এটাই প্রথম বার নয় যেখানে আইএস জঙ্গিরা এরকম ধরনের ছবি দেখিয়ে মুসলিম যুবকদের নিজেদের দলে টানতে চাইছে। এর আগেও এমনটা ঘটেছে। যদিও কেন্দ্রের দাবি, ভারতীয় মুসলিমরা আইএস গোষ্ঠীর মতবাদকে প্রত্যাখ্য়ান করেছে। অবশ্য আইএস-এর সঙ্গে যুক্ত অনেক ভারতীয়র খোঁজই মিলেছে গতকয়েক বছরে। তাই এই রিপোর্ট সামনে আসতেই ফের নড়েচড়ে বসেছে ভারতীয় গোয়েন্দারা।