ইরান ফুঁসছে বদলার আগুনে! আমেরিকার হাতে সুলেমানি হত্যার 'জবাব'-এ কার মৃত্যুদণ্ড জারি হল
ইরান ফুঁসছে বদলার আগুনে! আমেরিকার হাতে সুলেমানি হত্যার 'জবাব'-এ কার মৃত্যুদণ্ড জারি হল
২০২০ সালের শুরুতে বিশ্ব রাজনীতির পারদ চড়িয়েছিল মার্কিন-ইরান সংঘাত। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানের সেনা প্রধান কাশেম সুলেমানির হত্যা মেনে নিতে পারেনি সেদেশ। মার্কিন সেনার হাতে এই হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই ফুঁসছিল ইরান। এরপর শুরু হল 'জবাব' এর পালা!
মৃত্যুদণ্ডের সাজা
ইরানের সেনা প্রধান যে হত্যাকাণ্ডের দিন ইরাকেই থাকবেন তা বাইরের দেশ জানল কী করে? বা তাঁর গতিবিধি সম্পর্কীয় তথ্য কীভাবে পাচার হয়েছে? এই প্রশ্ন সামনে রেখে তদন্তে নেমেছিল ইরান প্রশাসন। যার উত্তরে সেদেশের এক ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে। সেই ব্যক্তি মার্কিন মুলুকের সিআইএ এজেন্ট বলে জানা যায়। আর সেই সিআইএ এজেন্টকেই মৃত্যু দণ্ডের সাজা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ইরান।
৫ মাসের মধ্যেই..
৩ রা জানুয়ারি ২০২০ সালে ইরাকের বুকে ড্রোন হামলায় ইরানের সেনা প্রধান সুলেমানিকে নিকেশ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। নিকেশের নেপথ্যে কারণ হিসাবে মার্কিন মুলুক জানায়, সুলেমানির আধিপত্য মধ্যপ্রাচ্যে বাড়ছিল। যে আস্ফালন মার্কিনিদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারত। আর তা আঁচ করেই এই হত্যা করা হয়।
মার্কিন গুপ্তচর ও ইরান
ইরানের ইতিহাস সাক্ষী রয়েছে যে , গুপ্তচর এ শত্রু শিবিরকে কখনও রেয়াত করেনি তারা। আর শত্রু শিবিরের ধ্বংস তারা নৃশংসভাবেই করেছে। এবার মার্কিন গুপ্তচরবাহিনী সিআইএ র হয়ে কর্মরত মহম্মদ মৌসাভি মাজিদকে ধরেছে ইরান। এর র বিরুদ্ধে সুলেমানি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। আর আর মাজিদকে যে মোসাদ (ইরানের গুপ্তচর সংস্থা) ছেড়ে কথা বলবে না, তা আগেই জানিয়েছে সেদেশে।
'ডার্ক প্রিন্স ' খতম!
এর আগে ইরান আরও এক সিআইএ এজেন্টকে নিকেশ করে বলে খবর ছিল। আফগানিস্তানের গজনিতে যে মার্কিন বিমান ভেঙে পড়ে, তার মধ্যে ছিলেন ওই সিআইএ এজেন্ট ডার্ক প্রিন্স। তবে এই বিষয়ে কোনও কিছু নিশ্চিত করে কিছু জানাচ্ছে না মার্কিন বা ইরানের প্রশাসন। তবে ,যতক্ষণ না পর্যন্ত গজনিতে মার্কিন বিমান ভেঙে পড়ার তদন্ত হচ্ছে, ততক্ষণ আসল সত্যতা বেরিয়ে আসছে না।
রাহুলকে অনুসরণ অভিষেকের! লাদাখে চিনের সঙ্গে সংঘাত নিয়ে অমিত শাহকে আক্রমণ তৃণমূল নেতার