ইরান প্রশ্নে ট্রাম্পের ডিগবাজিতে সংশয় বহু মহলেই: তবে কি আমেরিকার দাপটের দিন গত?
দুশমন ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের দিকে এগিয়েও শেষ মুহূর্তে পিছিয়ে আসার পরে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অধিপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে বিস্তর আলোচনা শুরু হয়েছে তাঁরই মিত্র দেশগুলির মধ্যে। কারও কারও মতে, ট্রাম্পের পিছু হঠা আসলে তাঁর ফাঁপা বুলির একটি উদাহরণ; অন্যদের মতে, তিনি শেষ মুহূর্তে পিছিয়ে এসে কৌশলগত মাস্টারস্ট্রোকে দিয়েছেন।

কিন্তু বিশ্ব জুড়ে যেই প্রশ্নটি উঠছে, বিশেষ করে আমেরিকার বন্ধু দেশগুলির মধ্যে, তা হচ্ছে বিশ্ব রাজনীতিতে ওয়াশিংটনের ক্ষমতা ও প্রভাব নিয়ে। তাহলে কি আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আগেকার দাপট নেই?
আমেরিকার ক্ষমতা ব্যবহারের অনিশ্চয়তা আরও প্রকট হল, বলছেন বিশেষজ্ঞ
নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর একটি প্রতিবেদনের মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের খামখেয়ালি সিদ্ধান্তের ফলে সংশয়গ্রস্ত হয়ে পড়েছে মার্কিন মিত্র দেশগুলি বলে জানিয়েছেন সে-দেশে প্রাক্তন ব্রিটিশ দূত নাইজেল শাইনওয়াল্ড। শাইনওয়াল্ড নিজে একসময়ে ইরানের সঙ্গে সমঝোতা প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিলেন। তিনি এও বলেন যে ট্রাম্পের এই পশ্চাদপসরণ ক্ষমতার ব্যবহারে আমেরিকার অনিশ্চিত অবস্থানের কথাও স্পষ্ট করে।
ফ্রান্স, ব্রিটেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এই ফাঁকে শান্তির কথা বলেছেন
ফ্রান্স এবং গ্রেট ব্রিটেনের মতো আমেরিকার বন্ধু দেশগুলি সংশয়ে পড়লেও তারা ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের ফলে যুদ্ধ বাধার থেকে যে সাময়িক স্বস্তি পাওয়া গিয়েছে, তা নিয়ে কিছুটা হলেও আস্বস্ত। ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রো শুক্রবার আমেরিকা ও ইরান -- উভয় পক্ষকেই আলোচনায় ফেরার পরামর্শ দিয়েছেন।
শনিবার, ২২ জুন, ব্রিটেনের সরকারও তেহরানে একজন মন্ত্রী পাঠিয়েছেন সেখানকার আধিকারিকদের সঙ্গে কথাবার্তা বলতে। শান্তিকামী আলোচনার সুর ধরা পড়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন-এর গলাতেও।
তবে, ট্রাম্পের এই আচমকা মত পরিবর্তনে সন্তুষ্ট হননি বিশ্বের অনেক বিশেষজ্ঞই, যাঁদের মতে এই খামখেয়ালি আচরণে স্পর্ধা বাড়বে ইরানেরই।
হরমুজ প্রণালীর উপরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি মূল্যবান ড্রোনকে ইরানের সেনা গুলি করে নামানোর পরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে তড়িঘড়ি সামরিক প্রত্যাঘাতের তোড়জোড় শুরু হয়।