ইরান চুক্তি থেকে আমেরিকা বেরিয়ে যাওয়ার ঠিক একবছর পরে হুঁশিয়ারি দিল তেহরানও
দু'হাজার আঠারো সালের ৮ মে ইরানের সঙ্গে বহুজাতিক পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
দু'হাজার আঠারো সালের ৮ মে ইরানের সঙ্গে বহুজাতিক পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গত এক বছরে ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক রোষানলে পড়ে ক্রমেই কোনঠাসা হয়েছে তেহরান; এমন কী তাদের তেল ব্যবসার উপরেও কড়া নিষেধাজ্ঞা লাগু করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। কিন্তু ইরান চুপ থাকেনি। আর এবার, চুক্তি থেকে আমেরিকার বেরিয়ে যাওয়ার ঠিক এক বছর পরে, অর্থাৎ গড় বুধবার, ৮ মে, ইরানও এক চরম সাবধানবাণী ছুঁড়ে দিল পশ্চিমের দিকে।
ইরান ঘোষণা করেছে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো তারাও এবার ২০১৫ সালে সাক্ষরিত হওয়া চুক্তিটিকে (পোশাকি নাম জয়েন্ট কম্প্রিহেন্সিভ প্ল্যান অফ একশন বা জেসিপিওএ) অগ্রাহ্য করতে শুরু করবে। এ ব্যাপারে ইরানের নেতৃত্বে একহাত নিয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নকেও (ইইউ); বলেছে তাদের চুক্তি থেকে হাত তুলে নেওয়ার অন্যতম বড় কারণ তেহরানের উপরে ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে ইইউ-র কোনও পদক্ষেপ নিতে না পারাও।
তেহরান টাইমস-এর মতে, ইরান ইইউকে ষাট দিনের সময়সীমা দিয়ে জানিয়েছে যে এর মধ্যে যদি তারা ওই চুক্তির স্বাভাবিকীকরণে কোনও পদক্ষেপ নিতে না পারে, তাহলে মধ্য এশীয় দেশটি তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে কালক্ষেপ করবে না।
ইরানের বিদেশমন্ত্রী তুলোধোনা করেন ইইউ-কে
বৃহস্পতিবার, ৯ মে, ইরানের বিদেশমন্ত্রী জাভাদ জরিফ টুইট করে ইইউ-র সমালোচনা করে বলেন যে জেসিপিওএ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একবছর আগে বেরিয়ে গিয়ে এই সময়কালে ইউরোপকে শুধুই হয়রান করেছে কিন্তু এত কিছু সত্বেও ইইউ 'দুঃখপ্রকাশ' ছাড়া আর কিছুই করে নি।
জরিফ বলেন যে শুধুমাত্র ইরানকে একপেশেভাবে চুক্তির শর্ত মানতে না বলে ইইউ-র উচিত সমস্তরকমভাবে সহযোগিতা করা।
ইরানের সাবধানবাণীকে নস্যাৎ করেছে ইইউ এবং ইউরোপের বড় শক্তিগুলি
৮ মে ইরানের তরফ থেকে চুক্তি থেকে হাত তুলে নেওয়ার হুঁশিয়ারি আসার পরে ইউরোপের তিনটি বড় শক্তি -- যথাক্রমে, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি এবং ইইউ তা নস্যাৎ করে আর তাতেই আরও জটিল হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।
একটি যৌথ বিবৃতিতে ইউরোপ জানায় যে কোনওরকম হুঁশিয়ারি তারা বরদাস্ত করবে না এবং পরমাণু সংক্রান্ত বিষয়ে ইরান কতটা নিয়ম মেনে চলছে তা পর্যবেক্ষণ করে আমরা দেখব তারা আদৌ শর্ত মঞ্চে কী না।
ইরানের উচিত চুক্তি ভঙ্গ না করা, জানিয়েছেন ফরাসি রাষ্ট্রপতি
ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রন জানিয়েছেন যে ইরানের অবশ্যই উচিত চুক্তিভঙ্গ না করা এবং তেহরান যাতে সে পথে না এগোয় তার জন্যে তাঁরা যা করার তাই করবেন।