চাবাহার রেল প্রকল্প থেকে বাদ দেওয়া হয়নি ভারতকে! ইরানের নয়া বক্তব্যে চরম ধন্দ
ভারত কোনও দিনই চাবাহার রেল প্রকল্পে ইরানের অংশীদার ছিল না, তাই ভারতকে বাদ দেওয়ার প্রশ্নও আসে না। চাবাহার বিতর্ক নিয়ে এবার মুখ খুলে আরও ধন্দ তৈরি করল ইরান। সম্প্রতি খবর প্রকাশ পায় যে চাবাহার রেল প্রকল্পে ভারতের বদলে চিনের সঙ্গে চুক্তি করেছে ইরান। তবে ইরানের বক্তব্য চাবাহার নিয়ে ভারতের সঙ্গে যেই দুটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল তাতে রেল প্রকল্পের উল্লেখ ছিল না।
চাবাহার রেল প্রকল্প থেকে বাদ ভারত?
এর আগে মিডিয়া রিপোর্টে বলা হয়, ইরানের চাবাহার বন্দর থেকে জেহেদান পর্যন্ত একটি রেলপথ তৈরির প্রকল্পের অংশিদার ছিল ভারত। তবে ইরানের স্পষ্ট বক্তব্য, ভারতের সঙ্গে ইরান যেই দুটি চুক্তি করেছে তা হল চাবাহার বন্দরের উন্নয়ন ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত। তাতে রেল প্রকল্প নেই।
ভারত ও ইরান ঐতিহাসিক ভাবে ভালো বন্ধু
ভারত ও ইরান ঐতিহাসিক ভাবে ভালো বন্ধু হলেও সম্প্রতি আমেরিকার ঘনিষ্ঠতার দাম হিসাবে সেই বন্ধুত্বে চিড় ধরেছে। ইরান থেকে তেল আমদানি বন্ধে বাধ্য হয়েছে ভারত। এদিকে ইরানের পরম শত্রু আমেরিকার সঙ্গে ভারতে সখ্যতা বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি চিনের সংঘাত বেড়েছে। শত্রুর শত্রুকে বন্ধু বানানো অনেক পুরোনো নীতি। আর সেই পথে হেঁটেই ইরান এখন চিনের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে।
ভারত-ইরান বন্ধুত্বে চিড়
তবে ইরানের বক্তব্য ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বে কোনও চিড় পড়েনি ইরানের। যদিও দিল্লি-ওয়াশিংটনের একাধিক চুক্তি চক্ষুশূল হয় ইরানের। এরপর উল্লেখ্য, চলতি বছরের প্রথম ভাগে যখন দিল্লি হিংসার আগুনে জ্বলছে, তখন পাকিস্তানের উস্কানিতে সিএএ নিয়ে ও দিল্লি হিংসা নিয়ে মুখ খুলেছিল ইরান। কার্যত সেই সময় ভারতের পরিস্থিতিকে খুব একটা ভালোভাবে নেয়নি সেদেশ। সমালোচনার সুরে এদেশে সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলে ইরান।
দিল্লিকে বড় ধাক্কা বেজিংয়ের
এই আবহে ইরানের সঙ্গে ২৫ বছরের একটি বড়সড় চুক্তি স্বাক্ষর করেছে চিন। যে চুক্তির মূল্য, ৪০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই চুক্তির ফলে ভারতকে আরও বেশি করে ঘিরে ধরল চিন। বালোচিস্তান ও করাচির বন্দর তো আগেই ছিল। এখন ভারতের বন্ধু রাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে নতুন করে বন্ধুত্ব গড়ে তুলে চিন ভারতকে বুঝিয়ে দিল যে বাণিজ্যিক যুদ্ধে দিল্লিকে কিঞ্চিচ জমি ছাড়তে রাজি নয় বেজিং।
চিন-মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধের বলি হংকং! ট্রাম্পের এক সইয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে