For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

পরমাণু চুক্তি ইরানে কী পরিবর্তন এনেছে?

যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, চীন ও রাশিয়া সাথে পারমাণবিক চুক্তি করার আগে ইরানের অর্থনীতিতে ছিল গভীর মন্দা।

  • By Bbc Bengali

দেশটির মধ্যবিত্ত শ্রেণীকে গত এক দশকে সবচেয়ে বেশী সমস্যার মুখোমুখি হতে দেখা গেছে।
AFP
দেশটির মধ্যবিত্ত শ্রেণীকে গত এক দশকে সবচেয়ে বেশী সমস্যার মুখোমুখি হতে দেখা গেছে।

পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রসহ ছয়টি পরাশক্তি দেশের সাথে ইরানের যে চুক্তি হয় তার ফলে দেশটির ওপর আরোপ করা অর্থনৈতিক অবরোধের অবসান ঘটে। বিশেষ করে তেল রপ্তানি, বাণিজ্য এবং ইরানের ব্যাংকিং খাতের ওপর আরোপ করা অবরোধ তুলে নেয়ার শর্তে ইরান সম্মত হয়েছিল তার পরমাণু কর্মসূচিকে সঙ্কুচিত করতে।

যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, চীন এবং রাশিয়া সাথে করা পারমাণবিক চুক্তির আগের সময়টিতে ইরানের অর্থনীতিতে বিরাজ করছিল এক গভীর মন্দা।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল- আইএমএফ'এর প্রতিবেদনে দেখা যায় যে চুক্তি বাস্তবায়নের প্রথম বছরেই দেশটির প্রকৃত জিডিপি বা মোট দেশজ উৎপাদন বৃদ্ধি পায় সাড়ে ১২ শতাংশ।

তবে এরপর থেকে প্রবৃদ্ধির হার কমতে থাকে বলে আইএমএফ জানায়। এ বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ শতাংশ। এটিকে যথাযথ মনে করলেও তা ছিল পাঁচ বছরের লক্ষ্যমাত্রা থেকে শতকরা ৮ ভাগ কম।

তেল রপ্তানি বাড়ার ফলেই জিডিপি প্রবৃদ্ধির তড়িৎ উন্নতি ঘটেছে।

অবরোধের পর ২০১৩ সালে যেখানে ইরানের তেল রপ্তানি ছিল প্রতিদিন ১.১ মিলিয়ন ব্যারেল, সেটাই অবরোধ উঠিয়ে নেয়ায় এখন দাঁড়িয়েছে দিনে ২.৫ মিলিয়ন ব্যারেলে।

ইরানের অন্যান্য বিখ্যাত সামগ্রীর রপ্তানির চিত্র কী?

তেল ছাড়া আর যেসব সামগ্রী ইরান রপ্তানি করে থাকে তা পরমাণু চুক্তির আগের বছরের তুলনায় সর্বশেষ ২০১৮-এর মার্চে বেড়েছে প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলারের মতো।

ইরানের কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী পেস্তা বাদামের মতো ইরানের 'নামকরা সামগ্রী'র রপ্তানি দাঁড়িয়েছে ১.১ বিলিয়ন ডলারে।

চুক্তির পর যুক্তরাষ্ট্র ইরানি কার্পেট আর ক্যাভিয়ারের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। এসব বিলাসবহুল সামগ্রীর সবচেয়ে বড় বাজারই হল এখন যুক্তরাষ্ট্র।

চুক্তি বাস্তবায়নের পর থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে ইরানের বাণিজ্য বেড়েছে উল্লেখযোগ্য-ভাবে। তবে দেশটির শীর্ষ ব্যবসায়িক অংশীদার হিসেবে এখনো আছে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া আর তুরস্ক।

মুদ্রার মান পরে যাওয়া থেকে কি বাঁচাতে পেরেছে এই চুক্তি?

২০১২ সালে অর্থনৈতিক অবরোধ আর অভ্যন্তরীণ অব্যবস্থাপনার কারণে ইরানের মুদ্রা রিয়াল ডলারের বিপরীতে দুই তৃতীয়াংশ মান হারায়।

তবে চুক্তির শর্ত মেনে চলে এ অবস্থার উন্নতির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। আর পরের চার বছর মুদ্রার মানে যথেষ্ট স্থিতিশীলতা ছিল। তবে ২০১৭ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প চুক্তি অপসারণের হুমকি দেবার পর থেকে আবারো পড়তে থাকে রিয়ালের মান।

পরমাণূ চুক্তির পর সাধারণ মানুষের অবস্থা কি বদলেছে?

২০০৭-০৮ অর্থবছরের তুলনায় ২০১৬-১৭ তে এসে দেশটির সাধারণ পরিবারগুলোর খরচ বা হাউজহোল্ড বাজেটের পরিমাণ কমেছে । ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের তথ্য বিশ্লেষণে এমন চিত্রই উঠে আসে।

বিশেষ করে দেশটির মধ্যবিত্ত শ্রেণীকে গত এক দশকে সবচেয়ে বেশী সমস্যার মুখোমুখি হতে দেখা গেছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে অব্যবস্থাপনা এবং অবরোধের কারণেই এমনটা ঘটেছে।

কেননা পরমাণু কর্মসূচি সংক্রান্ত চুক্তি পরবর্তী তেল রপ্তানির অর্থ সরাসরি গেছে ইরানের সরকারি কোষাগারে। সাধারণ মানুষের পকেটে তেমন কিছু পৌঁছায়নি।

English summary
Iran's Nuclear treaty changed anything
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X