ইরানে শিশুদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের পরিমান ক্রমেই বাড়ছে, উদ্বেগ প্রকাশ জাতিসংঘের
ইরানে শিশুদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের পরিমান ক্রমেই বাড়ছে, উদ্বেগ প্রকাশ জাতিসংঘের
মানবাধিকার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ইরানে মৃত্যুদণ্ডের সাজার ব্যাপক বৃদ্ধি সম্পর্কে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করল জাতিসংঘ। মুসলিম প্রধান এই দেশটি ফাঁসির সাজা ঘোষণার ক্ষেত্রে বিশ্বের সব দেশের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বলে জানায় ইরানে নিয়োজিত মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের একটি বিশেষ তদন্তকারী দল।
এদিকে ইরানের শিশুদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রসঙ্গে জাতি সংঘের রিপোর্টে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। জাতি সংঘের ওই বিশেষ প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে ২০১৭ সালে দেশ জুড়ে প্রায় ৫০৭ জনের ফাঁসির সাজা শোনায় দেশের বিচারালয় গুলি। পাশাপাশি ২০১৮ সালে ৭ জন এবং চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দুজন নাবালককে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে সে দেশের ন্যায়ালয় গুলি। অন্যদিকে ১৮ বছরের নিচে কোনও নাবালকের মৃত্যুদণ্ডের সাজা জাতি সংঘের মানবাধিকার আইনেরও পরিপন্থী বলেন জানান জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ জাভেদ রহমান।
বুধবার জাতি সংঘের সাধারণ পরিষদের মানবাধিকার বিষয়ক একটি বিশেষ অধিবেশনে এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, 'বিশ্বাসযোগ্য সূত্র মারফত তিনি জেনেছেন এখনও পর্যন্ত প্রায় ৯০ জন নাবালক ইরানে ফাঁসির অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন।’ ইরানে নিয়োজিত মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ তদন্তকারী দলের এই সদস্য ওই দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রসঙ্গে এদিনের সভায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ' ২০১৭ সালের পর ২০১৮ সালেও প্রায় ২৫৩ জনের ফাঁসির সাজা শোনায় সে ইরানের আদালতগুলি। পাশাপাশি দেশের রক্ষনশীদের মতে চলতি বছরেই দেশের অপরাধ দমনে এখন পর্যন্ত প্রায় এখনও পর্যন্ত ১৭৩ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।’
যদিও অন্যদিকে তিনি ২০১৭ সালে ইরানের মাদক-বিরোধী আইনের সংশোধনীকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ' এই সংশোধনের ফলে দেখা যাচ্ছে ২০১৭ সালের পর ২০১৮তে মৃত্যুদণ্ডের হার কমেছে। তবে মানবাধিকার রক্ষার প্রসঙ্গে সে দেশের সরকারের এখনও অনেক কিছু করার আছে। ’
যদিও সার্বিক ভাবে ইরানে অপরাধের প্রবণতা বৃদ্ধি ও পাশাপাশি মানবাধিকার লঙ্ঘনের পরিমাণ বৃদ্ধি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সে দেশের আর্থ-সামাজিক সমস্যার কথাও তুলে ধরেন জাতি সংঘের ওই বিশেষজ্ঞ। যদিও জাতি সংঘের এই চাঞ্চল্যকর প্রতিবেদন প্রকাশের পরই বিশ্ব জুড়ে সরব হয়েছে একাধিক মানবাধিকার সংগঠনগুলি।