যুদ্ধ করার সাহস নেই আমেরিকার, কটাক্ষ ইরানের সেনাবাহিনীর
যুদ্ধ করার সাহস নেই আমেরিকার। ইরানের উদ্দেশ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুঁশিয়ারির পর এরকম ভাবেই পাল্টা কটাক্ষ ছুঁড়ে দিল ইরানের সেনাবাহিনী। গত শুক্রবার ভোররাতে বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আচমকা ড্রোন হামলায় ইরানের কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাশেম সুলেমানিকে হত্যা করে মার্কিন সেনা। এরপরই যুদ্ধের আবহ তৈরি হয়েছে দুই দেশের মধ্যে।
এই ঘটনার পর আমেরিকার উপর প্রতিশোধ নেওয়ার কথা বলেন ইরানের ক্ষমতার অলিন্দে থাকা আয়াতুল্লাহ খামেনি। এক টুইট বার্তায় তিনি লেখেন, 'এত বছর ধরে দেশের জন্য নিজেকে সমর্পণ করা দাম সুলেমানি শহিদ হয়ে দিলেন। সুলেমানি চলে গেছেন। কিন্তু তাঁর কাজ থামবে না। জিহাদ এগোতে থাকবে। যারা এই কাজ করেছে তাদের জন্য গুরুতর প্রতিশোধ অপেক্ষা করছে। পবিত্র যুদ্ধে সমর্পিত যোদ্ধাদের জন্য সুনির্দিষ্ট বিজয় অপেক্ষা করছে।'
প্রতিশোধের হুঙ্কার দিয়েছেন ইরানের বিদেশমন্ত্রীও। ইরানের বিদেশমন্ত্রী মহম্মদ জাভাদ জাফারি আমেরিকার এই হামলাকে 'অত্যন্ত বোকা ও খতরনাক' বলে আখ্যা দেন। তিনি এক টুইট বার্তায় আরও বলেন, 'এই ঘটনা পরবর্তী পরিণতির জন্যে দায়ি থাকবে আমেরিকাই।'
এরই পাল্টা দিতে ঝাঁঝালো সুরে ট্রাম্প এদিন বলেন, 'ওরা (ইরান) যদি হামলা করে আবার, যা আমি না করারই পরামর্শ দেব, আমরা কিন্তু আরও জোরালো হামলা করব, যা ওরা (ইরান) ভাবতেই পারবেনা।' পাশাপাশি ট্রাম্প সরকার ইরানের ৫২ টি ঘাঁটিতে মার্কিন হামলার হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে।
তবে এত কিছুর মাঝেও নিজেদেরকে শক্ত রাখছে ইরান। এদিকে আমেরিকার উপর হামলা চালানোর পরিকল্পনাও করছে তারা। এরই মাঝে কেনিয়ায় একটি সেনা ছাউনিতে জঙ্গি গোষ্ঠী আলশাবাবের বিধ্বংসী হামলার খবর উঠে আসে। জানা গিয়েছে, ওই সেনা ছাউনি ব্যবহার করছিল মার্কিন সেনা। আর সেখানেই অতর্কিত আক্রমণ চালিয়েছেন জঙ্গি গোষ্ঠী। আলকায়দা নিয়ন্ত্রিত আফ্রিকার এই আলশাবাব গোষ্ঠীর হামলা ঘিরে ফের একবার বাগদাদে সুলেমানির মৃত্যু প্রসঙ্গ উস্কে যাচ্ছে।