Iran Anti Hijab Row: ইরানে জয় বিদ্রোহীদের, অবশেষে নিষিদ্ধ হল নীতি পুলিশ
Iran Anti Hijab Row: ইরানে জয় বিদ্রোহীদের, অবশেষে নিষিদ্ধ হল নীতি পুলিশ
ইরানে তুমুল বিক্ষোভের জেরে নিষিদ্ধ হল নীতিপুলিশ পদটি। হিজাব নিয়ে তুমুল আন্দোলন শুরু হয়েছিল ইরানে। শেষে চাপের মুখে পিছু হটল শাসক। নিষিদ্ধ করা হল নীতিপুলিশ পদটি। এখনও আন্দোলন জারি রেখেছে তারা। প্রায় ২ মাস ধরে হিজাবের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে ইরানে। শেষ পর্যন্ত চাপে পড়ে পিছু হঠতে বাধ্য হল ইরান সরকার। উল্লাশে ফেটে পড়েছেন আন্দোলনকারীরা।
ইরানে তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল হিজাব নিয়s। ইরানে কঠোর পোশাক বিধি কার্যকর করতে চেয়েছিল সরকার। সেই পোশাকবিধিতে মহিলাদের হিজাব পরা বাধ্যতামূলক করার কথা বলা হচ্ছিল। সেটা সঠিকভাবে না করা হলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছিল ইরান সরকার। আর তাতে প্রবল আপত্তি জানিয়েই ইরানের মেয়েরা পথে নামে। প্রায় ২ মাস ধরে আন্দোলন চালিয়েছেন তাঁরা। কিছুতেই হার মানেন নি।
আন্দোলন করতে গিয়ে মাহসা আমিনি নামে এক যুবতী মারা যান। পোশাক বিধি না মানায় তাঁকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ২২ বছরের ওই তরুণী পরে পুলিশের হেফাজতেই মারা যান। যথাযথ ভাবে হিজাব না পরায় ইরানের নীতিপুলিশের হাতে গ্রেফতার হতে হয়েছিল তাঁেক। সেই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষেপে উঠেছিলেন ইরানের মহিলারা। পোশাক বিধির বিরোধিতায় রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছিলেন তাঁরা।
প্রতিবাদের সুর শোনা গিয়েছিল ওয়ার্ল্ড কাপের ময়দানেও। ফুটবল ওয়ার্ল্ড কাপের প্রথম দিনে খেলা শুরুর আগে প্রতিবাদে জাতীয় সঙ্গীত গাননি ইরানের ফুটবলাররা। একেবারে আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছে গিয়েছিল সেই বিক্ষোভ। তারপরেই ইরানের এই পোশাক নীতি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনা শুরু হয়। শেষে চাপে পড়ে নীতি পুলিশের পদটাই বাতিল করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে দিয়েছেন তিনি। ইরানের অ্যাটর্নি জেনারেল মোহম্মদ জাফর মোন্টাজ়েরি বলেছেন, 'বিচারব্যবস্থার সঙ্গে নীতি পুলিশির কোনও সম্বন্ধ নেই।'
এক কথায় পিছু হঠতে হয়েছে ইরান সরকারকেই। সেটা আন্দোলনের চাপে পড়ে না আন্তর্জাতিক মহলে দেশের ভাবমূর্তি বজায় রাখতেই এই সিদ্ধান্ত কিনা তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে কারণ যাই হোক আদপে জয় হয়েছে আন্দোলনকারীদের। গোটা বিশ্ব যখন এতটা এগিয়ে গিয়েছে তখন পোশাক বিধি নিয়ে দেশের এই কড়া পদক্ষেপ কিছুতেই মানতে চাননি ইরানের মেয়েরা। আন্দোলন দমন করতে বিক্ষোভকারীদের উপরে গুলি চালাতেও পিছপা হয়নি পুলিশ। মাহসার পরিবার দাবি করেছে হিজাব ঠিক মত না পরায় তাঁদের মেয়েকে গ্রেফতার করে নিয়ে অকথ্য অত্যাচার চালিয়েছে ইরানের পুলিশ। তার জেরেই পুলিশের হেফাজতে মৃত্যু হয় তাঁর।